কৃতিত্বের জন্য পদক পেলেন বিজিবির ৫৯ জন

105

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ২০২০ সালের বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৪টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ৫৯ জনকে পদক দেয়া হয়েছে।

বুধবার সকালে পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের মাল্টিপারপাস সেডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদকপ্রাপ্তদের পদক পরিয়ে দেন।

এরমধ্যে ১০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক (বিজিবিএম), ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক (পিবিজিএম), ১০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক সেবা (বিজিবিএমএস) ও ১৯ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক সেবা (পিজিবিএমএস) দেয়া হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ও মহান দায়িত্ব বিজিবির উপর ন্যস্ত। নানান সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষাসহ চোরাচালান, মাদকপাচার ও নারী-শিশুপাচার রোধে বিজিবির সফলতা প্রশংসনীয়। বিশেষ করে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও অন্যান্য মাদকপাচার রোধে বিজিবি বিশেষ কৃতিত্ব দেখাতে সক্ষম হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ দেশ গঠনমূলক কাজেও বিজিবি প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিজিবির সার্বিক কল্যাণে ও বিজিবিকে একটি আধুনিক বর্ডার ফোর্স হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিজিবি এয়ার উইং উদ্বোধন ও ২টি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার সংযোজনের মধ্য দিয়ে বিজিবিকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

বিজিবির সকল স্তরের সদস্যদের কল্যাণের জন্যও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রমে আরো গতি আসবে। অধিক সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিশেষ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্ব ও ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় বিজিবি আজ ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এই বাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে ২টি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার, যুগোপযোগী ও কার্যকরী ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র, আর্মাড পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি), রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল, অল টেরেইন ভেহিক্যাল, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন হাইস্পিড বোট, ইন্টারসেপ্টর বোট ও ইউটিলিটি বোট ইত্যাদিসহ অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি।

তিনি জানান, ভারত ও মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের প্রায় ৮০ কি.মি. সীমান্ত এলাকা ‘স্মার্ট বর্ডার সার্ভেইল্যান্স অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেম’ এর আওতায় আনা হয়েছে। বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রমকে আধুনিক, যুগোপযোগী ও গতিশীল করার লক্ষ্যে যশোরে একটি অত্যাধুনিক ডাটা সেন্টার ডিজাস্টার রিকভারি সাইট স্থাপন করা হয়েছে। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিজিবি সদস্যদের পোশাক, আবাসন, বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে। এ ছাড়া সর্বক্ষেত্রে বিজিবির উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। এ জন্য বিজিবির প্রতিটি সদস্যের পক্ষ থেকে বিজিবি মহাপরিচালক বর্তমান সরকার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সম্মানিত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিজিবির সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, সৈনিক ও বেসামরিক কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।