এশিয়ার নতুন শীর্ষ ধনী ঝং শানশান

198

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

এশিয়া এবার এক নতুন ধনী ব্যক্তিকে পেয়েছে। মুকেশ আম্বানি এবং জ্যাক মা-এর মতো ধনকুবেরকে পেছনে ফেলে চীনা ব্যবসায়ী ঝং শানশান এবার এশিয়ার তালিকায় প্রথম স্থানটি দখল করেছেন। সারা বিশ্বের ধনীদের তালিকায় ১১তম স্থানে রয়েছেন তিনি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেস্কের দেয়া তথ্যমতে, বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৭৮০ কোটি ডলার। আর এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে সহযোগিতা করেছে তার করোনা ভ্যাকসিন এবং বোতলজাত পানি প্রস্তুতকারক দু’টি ফার্মটি। এজন্য তিনি এই প্রতিষ্ঠান দু’টিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। চলতি বছরে ঝং শানশানের সম্পদের পরিমাণ ৭’শ কোটি ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। যেটা তাকে ভারতের মুকেশ আম্বানি এবং চীনের জ্যাক মা-কে পিছনে ফেলতে সহায়তা করেছে।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

‘লন ওলফ’ তার ডাকনাম। তার কর্মজীবনের শুরুটা হয়েছিলো সাংবাদিকতা, মাশরুম চাষ এবং স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে। ঝংয়ের ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিষ্ঠান বেইজিং ওয়ান্টাই বায়োলজিকাল, এ বছরের এপ্রিল মাসে চীনের শেয়ার বাজারে আসে। এর তিন মাস পরে বোতলজাতকরণ পানির কোম্পানি ‘নংফু স্প্রিং’য়ের শেয়ারও হংকং এর তালিকাভুক্ত করেছিলেন তিনি । সেই সময়ই এটি ঝংকে চীন এবং এশিয়ার ধনী জ্যাক মা-এর প্রতিষ্ঠান আলিবাবা থেকেও উপরে উঠতে সাহায্য করে।

তারপর থেকেই নংফু হংকংয়ের অন্যতম জনপ্রিয় সংস্থার তালিকায় পরিণত হয় এবং বাজারে আসার পর থেকেই এর শেয়ারমূল্য ১৫৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে কোভিড-১৯ এর টিকা তৈরির মধ্য দিয়ে বেইজিং ওয়ান্টাই বায়োলজিকের শেয়ার প্রায় ২ হাজার শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্লুমবার্গের মতে ঝংয়ের এই নাটকীয় উত্থান তাকে ইতিহাসের দ্রুততম ধনী হওয়ার মাধ্যমে এশিয়াতে তালিকায় প্রথম স্থান এনে দিয়েছে।

এই করোনা মহামারি বিশ্বের অনেক ধনী ব্যক্তির ধনসম্পদের পরিমাণ আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। এ যেন সাপে বর পাওয়ার মতো। এমন ধনীদের তালিকায় প্রথমেই যে নামটি আসে সেটা হলো অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। এই করোনা মহামারিতে তার সম্পদের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির সম্পদ ১৮৩০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬৯০ কোটি ডলার। এর কারণ, তিনি তার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজকে পরিণত করেছেন প্রযুক্তি ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে। বছরের শুরুতেই ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছিলো ভারতীয় মোবাইল ইন্টারনেট সংস্থা রিলায়েন্স জিওতে ৫৭০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। এই রিলায়েন্স জিও’র মালিকও মুকেশ আম্বানি।

তবে, আলিবাবার রাজ্যে চীনা নিয়ন্ত্রকদের তদারকি বৃদ্ধি পাওয়ায় অক্টোবরে জ্যাক মা’র সম্পদের পরিমাণ ৬১৭০ কোটি ডলার থেকে নেমে ৫১২০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। আলিবাবার একচেটিয়া আধিপত্যের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। যখন এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যান্ট গ্রুপের শেয়ার নভেম্বরে বাজারে বন্ধ করে দেয়া হয়। চীনের বেশিরভাগ বিলিয়নিয়ার প্রযুক্তিভিক্তিক শিল্প থেকে এসেছেন। কিন্তু হুয়াওয়ে, টিকটক এবং উইচ্যাট নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাও চীনা শেয়ারের মূল্যকে অনেকখানি হ্রাস করেছে।