অবশেষে ইইউ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে গেল যুক্তরাজ্য

110

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে গেল যুক্তরাজ্য।

গণভোটের রায়ের সাড়ে তিন বছর পর শুক্রবার (১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ১১টায় ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ ঘটল। খবর বিবিসি।

তবে এখনই পুরোপুরি এ বিচ্ছেদ কার্যকর হচ্ছে না। আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট হলেও এর কার্যকরের মেয়াদ ধরা হয়েছে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত।

ভ্রমণ, বাণিজ্য, অভিবাসন ও সুরক্ষা সহযোগিতা প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ায় যুক্তরাজ্যে নতুন নিয়মে চালু হয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একে ‘অসাধারণ মুহূর্ত’ উল্লেখ করে বলেছেন, আমরা আমাদের হাতে স্বাধীনতা পেয়েছি এবং এর সর্বাধিক সুবিধা নেওয়া আমাদের ওপর নির্ভর করবে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো জানিয়েছেন, বিচ্ছেদ হলেও যুক্তরাজ্য আমাদের বন্ধু ও মিত্র হিসেবে থাকবে।

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা সতর্ক করে বলেছেন, আগামী দিনে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হবে, যেহেতু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে যুক্তরাজ্যের ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, বন্দরগুলিতে নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন সীমান্ত ব্যবস্থায় যেতে প্রস্তুত রয়েছে দেশটি।

উল্লেখ, ২০১৬ সালে গণভোটে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদের (ব্রেক্সিট) পক্ষে ভোট পড়ে। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি রাতে দাপ্তরিকভাবে বিচ্ছেদ কার্যকর হয়। এর পরবর্তী ১১ মাস ছিল পরিবর্তনকালীন সময় বা ট্রানজিশনাল পিরিয়ড। এই সময়ে উভয়পক্ষে ভবিষ্যত বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে কোনো সমঝোতা পৌঁছতে পারছিল না। শেষ পর্যন্ত বড়দিনে এ সংক্রান্ত সমঝোতা হয় দুই পক্ষে।

নতুন চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের উৎপাদনকারীরা ইইউ’র অভ্যন্তরীণ বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। এছাড়া ব্রিটেন ও এই অঞ্চলের দেশগুলোতে আমদানির ক্ষেত্রেও কোনো শুল্ক থাকছে না। তবে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের ভ্রমণের বিষয়টি কীভাবে বিবেচনায় নেওয়া হবে সে বিষয়ে এখনও অনেক কাজ বাকী রয়েছে। এছাড়া ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবাখাত নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। অথচ যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।