ভয়ংকর এক কিশোর অপরাধ! টিভিতে শুরু খুনে শেষ

175

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

ভিক্ষায় বেশি আয়ের লোভে নিজের সঙ্গী করতে চুরি করা হয় শিশু রোহানকে। দুদিন পর হাসপাতালের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে হত্যা করা হয় তাকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের সেপটিক ট্যাংক থেকে রোহানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এক কিশোরকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মসজিদপাড়া থেকে নিখোঁজ হয় রোহান। নিখোঁজের দুদিন পর শনিবার রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সদর হাসপাতালের খোলা সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান জানান, সদর থানায় এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরিদর্শক পদের একজনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আরামবাগ এলাকার নিজ বাড়ি থেকে নয়ন নামের এক কিশোরকে আটক করা হয়।

তিনি আরো জানান, রোহানের মরদেহ উদ্ধারের পর হাসপাতালের সিসি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে অভিযুক্ত ওই কিশোরকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। পরে শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার নিজ বাড়ি থেকে গোয়েন্দ পুলিশের একটি টিম তাকে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন পুলিশকে জানায়, ওই শিশুটিকে অপহরণ করে ভিক্ষা করার জন্য নিয়ে আসে হাসপাতালে। পরে শিশুটিকে হাসপাতালের লাশ কাটা ঘরের পেছনে ঢাকনাবিহীন একটি সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় সে।

পুলিশ সুপার জানান, নয়নের মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে এবং নয়ন ভিক্ষা করত। ভিক্ষা করতে গিয়ে তার আয় কম হয়। টিভিতে অপহরণ ও ভিক্ষার কাহিনি দেখে শিখে পাশের সুজন আলীর ছেলে রোহানকে দুদিন আগে অপহরণ করে ভিক্ষার কাজে নামে সে। এতে তার আয় বেড়ে যায়। দুদিন পর রোহান কান্নাকাটি করে বাড়ি যাওয়ার জন্য, তাকে মেরে ফেলার হুমকি ও ভয় দেখায় নয়ন। একপর্যায়ে ঢাকনাবিহীন হাসপাতালের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলার সময় নয়ন ও রোহানের ধস্তাধস্তিতে মাথায় আঘাত পায় রোহান। এরপর তাকে ট্যাংকের মধ্যে ফেলে দেয় নয়ন।

সুত্র কালের কন্ঠ অনলাইন