নন্দীগ্রামে মদ্যপ ৮ বন্ধুর মাতলামি,শান্তকারীকে ধাক্কা দিয়ে ফেললো চলন্ত ট্রাকের নিচে!

134

“””””””””””””””””””””””””””””””””””
নন্দীগ্রাম বগুড়া প্রতিনিধিঃ–
বগুড়ার নন্দীগ্রামে আনোয়ার হোসেন বুলু (৩৮) নামে এক যুবককে তার বন্ধুরা মদ্যপ অবস্থায় ট্রাকের নীচে ফেলে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। শনিবার (২ জানুয়ারি) গভীর রাতে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে নন্দীগ্রাম উপজেলার তেঘরী নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বুলু নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার জাতআমরুল গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। এ ঘটনায় দুই সহযোগী আরিফুল ও ইসলাম হোসেনকে আটক করে নন্দীগ্রাম থানায় সোপর্দ করেছে নিহতের পরিবার।
জানা গেছে, বুলু তার সাত বন্ধুকে নিয়ে শনিবার রাতে মাইক্রোবাসযোগে আত্রাই থেকে বগুড়া শহরে হোটেল নাজ গার্ডেনে যায়। সেখানে সবাই মিলে মদ পান করে। পরে মাইক্রোবাসযোগে বগুড়া-নাটোর সড়ক হয়ে আত্রাই এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে নন্দীগ্রামের তেঘরী নামক স্থানে মাইক্রোবাসে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় বুলু মাইক্রোবাস থামিয়ে সড়কে নেমে তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায় তার সহযোগীরা বুলুকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত ট্রাকের নীচে ফেলে দেয়। এতে ট্রাকচাপায় বুলু ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে বন্ধুরা বুলুর মরদেহ মাইক্রোবাসে তুলে আত্রাই নিয়ে আসে। সেখানে পাঁচজন নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়। আরিফুল ও ইসলাম বন্ধু বুলুর মরদেহ বাড়িতে পৌঁছে দিতে গেলে পরিবারের সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক করে। রবিবার (৩ জানুয়ারি) সকালে তাদেরকে নন্দীগ্রাম থানায় সোপর্দ করা হয়।
নিহত বুলুর ভাই মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের নিজস্ব মাইক্রোবাস বুলু চালাচ্ছিল। দুর্ঘটনায় মারা গেলে মাক্রোবাস ক্ষতিগ্রস্ত হতো। আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।’
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, নিহতের পরিবার যাদেরকে থানায় সোপর্দ করেছে তাদেরকে মামলায় সাক্ষী করা হবে।