বগুড়ার ধুনটে জমি লীজ নিয়ে দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

150

এম.এ রাশেদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়ার ধুনটে জমি লীজ নিয়ে দেওয়ার নামে আব্দুল করিম নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সে উপজেলার কাদাই গ্রামের মৃত. ওয়াহেদ বক্স তরফদারের ছেলে ও ভুক্তভুগি রেজাউল হকের বড় ভাই। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ ও জেলা বগুড়া ধুনট থানা আমলী আদালতে ৬জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভুগি রেজাউল হক।

ভুক্তভুগি রেজাউল হক জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারী ২০০১ থেকে ১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ পর্যন্ত তিনি রাজধানীর ডেকো এক্সোছরিজ নামে একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করেন। চাকুরী করা কালীন আমার বড় বোনসহ অন্যান্যদের মারফতে জমি লীজ নেওয়ার জন্য আমার বড় ভাই আব্দুল করিমের নিকট টাকা টাকা পাঠাতে থাকি। সব মিলেয়ে আমি ১২ লক্ষ টাকা আমার বড় ভাই কে দিয়েছি। করোনা কালীন সময়ে চাকুরী হারিয়ে আমি বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে আসার পরে গোপনে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার বড় ভাই ও তার ৫ ছেলে যথাক্রমে মহসিন আলম মুন্নু, মিজানুর রহমান, মিলটন তরফদার, শিপলু তরফদার ও লিখন তরফদার মিলে আমার পাঠানো ১২,০০,০০০/- (বারো লক্ষ) টাকা আত্মসাৎ করে। তারা যোগ সাজসে আমার নামে জমি লীজ নেয়ার পরিবর্তে আমার টাকা দিয়ে আব্দুল করিমের নামে ২০-৩০ বিঘা জমি লীজ নিয়েছে।

গত ১৮ জুন বৃহস্পতিবার আমি আমার বড় ভাইয়ের কাছে আমার টাকা ও আমার নামে লীজ নেওয়া জমির বিষয়দি শুনতে চাই। তারা আমার টাকা ও লীজকৃত জমির বিষয়দি সম্পন্ন অস্বিকার করে। বড় ভাইয়ের এমন আচরনের কারনে আমি হৃদরোগে আত্রান্ত হয়ে ধূনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা জন্য ভর্তি হই। ভর্তি থাকা অবস্থায় তারা লোকজন দিয়ে মারার চেষ্টা করে। পরে গ্রাম্য সালিসে ১২ লক্ষ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিতে স্বিকার হয় এবং ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিপরিতে ২ ফসলে ৪০ মন করে মোট ৮০ মন ধান দিবে মর্মে ইনডেন করা ষ্ট্যাপে স্বাক্ষর করে অঙ্গিকার নামা দেয়। পরবর্তিতে অঙ্গিকার ভঙ্গ করলে ইউনিয়ন পরিষদের বিচার দাবী করি। বিচারে আব্দুল করিম হাজির না হওয়ায় ১৬ সেপ্টম্বর ২০২০ তারিখে আদালতের স্মরনাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রত্যায়ন পত্র দেয় কালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বিপ্লব হোসেন। কিন্তু সেখানেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় গত ১৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখে ধুনট থানায় অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে আপোষ করার জন্য থানায় হাজির হতে বলে। সেখানেও তারা আমাকে টাকা দিবে বলে মিমাংসার বৈঠক শেষ হয়। পরবর্তিতে তারা আমাকে টাকা ফেরত না দিয়ে নানা ধরনের ভয়ভিতি, খুন জখমের হুমকিসহ আমার নানা ধরনের অপ্রচার চালাতে থাকে। এ অবস্থায় কোন প্রতিকার ও নিচের নিরাপত্তার জন্য জেলা বগুড়া ধুনট থানা আমলী আদালতে ৬জনকে আসামী করে মামলা (যাহার নং ১৮৬সি/২০২০) দায়ের করি।

স্থানীয় প্রতিবেশি মান্নান নামে এক ব্যাক্তি জানান, রেজাউল হকরে কাছ থেকে আব্দুল করিম টাকা নিয়ে এটা জানি। কিন্তু কত টাকা নিয়েছে এটা জানি না। তবে এ বিষয়ে একবার ইউনিয়ন পরিষদে বিচার সালিশ হয়েছে।