মালয়েশিয়ায় করোনার ‘ভুয়া সনদ’ কিনে বিপাকে ৮ বাংলাদেশি

102

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক
মালয়েশিয়ায় একটি কোম্পানিতে কাজে যোগ দিতে দেশটির চিকিৎসকদের থেকে ‘করোনার সনদ’ কিনে প্রতারিত হয়েছেন আট বাংলাদেশি। ওই আটজন এখন পলাতক অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।

মালয়েশিয়ার প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য স্টার জানিয়েছে, এর পেছনে ডাক্তারদের একটি চক্রের হাত রয়েছে। তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুয়া ফলাফল তৈরি করে ৩০০ থেকে ৫০০ রিঙ্গিতে বিক্রি করছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম প্রায় ১০ হাজার টাকা।

পুলিশ ইতিমধ্যে চক্রটির খোঁজ পেয়েছে। স্থানীয় এক চিকিৎসকের নাম ব্যবহার করে তারা সনদ বিক্রি করছিলেন। ওই চিকিৎসক পুলিশে অভিযোগ করার পর বাংলাদেশি এক হোস্টেল ম্যানেজারসহ স্থানীয় আরেকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে স্টার বলছে, সেনাইয়ের একটি কোম্পানি আট বাংলাদেশিকে নিয়োগের পরিকল্পনা করছিল। এই কর্মীরা করোনা পজিটিভ কি না, সেটি নিশ্চিত হতে আউটসোর্স কোম্পানি থেকে টেস্ট করতে বলা হয়।

এরপর বাংলাদেশিরা কোম্পানিটির এইচআরে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের রেজাল্ট জমা দেন। কর্মকর্তারা ফলাফল সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ক্লিনিকের প্রধান চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি জানান, ওই আটজনের কোনো তথ্য তার কাছে নেই!

চিকিৎসকের থেকে এমন জবাব পেয়ে কর্মকর্তারা পুলিশে খবর দেন। এরপর অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়।

পুলিশ এখন বাংলাদেশি কর্মীদেরও খুঁজছে। কিন্তু তারা গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রবাসী কর্মীদের কাছে এভাবে ভুয়া সনদ বিক্রি করায় মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতাশা প্রকাশ করেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আর বিদ্যানন্তন এমন সিন্ডিকেটের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।