বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক
হাইস্কুল শিক্ষক স্বামী তার সাবেক এক ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করেন। স্বামীর মাথা থেকে পরকীয়ার ভুত নামাতে সেই মেয়ের সঙ্গে নিজের ছেলের বিয়ে দিয়ে দেন মা। এরপর থেকে মায়ের ওপর বেড়ে যায় অত্যাচার। সেই অত্যাচার সইতে না পেরে মা বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন! অবিশ্বাস্য এই ঘটনা ঘটেছে চুয়াডাঙ্গায়। বিষপান করার পর মুমুর্ষ অবস্থায় সেই নারী এখন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত হাই স্কুলের শিক্ষক মোজাফফর আলী ওরফে জহুরুল। তার বয়স এখন ৫০। এই বয়সেও তিনি তার এক সাবেক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই সুবাদে ওই ছাত্রী শিক্ষক জহুরুলের শ্বশুরবাড়ি দৌলতদিয়াড়ে প্রায়ই যাতায়াত করতেন। একপর্যায়ে জহুরুলের ছেলে শুভর সঙ্গেও তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ বিষয়টি তার মা জানতে পারায় ছেলের সঙ্গে গোপনে ওই মেয়েটির বিয়ে দিয়ে দেন। এতে আরও হিতে বিপরীত হয়। স্ত্রীর ওপর জহুরুল নির্যাতন শুরু করেন।
এদিকে শিক্ষক জহুরুলের বিবাহিত জীবন নিয়েও জটিলতা আছে। জহুরুলের বর্তমান স্ত্রী একসময় তার গ্রামের বাড়িতে কাজ করতেন। তখন তাদের মাঝে সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। তবে শিক্ষকের পরিবার এটা মেনে নেয়নি। তাই বেশিরভাগ সময় স্ত্রী তার বাপের বাড়িত দৌলতদিয়াড়ে থাকতেন। সেখানে জহুরুল মাঝে মাঝে যাতায়াত করতেন। বেশিরভাগ সময় তিনি নিজ গ্রাম হায়দারপুরে অবস্থান করতেন। জহুরুল তার স্ত্রীকে তালাকের ভয় দেখিয়ে তিনি অনৈতিক কাজ করতেন বলে অভিযোগ আছে। তাছাড়া জহুরুল ২০০৭ সালেও নিজ বিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ধরা পড়েন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সোহানা আহমেদ বলেন, (নাম প্রকাশ করা যাবে না) নামে এক নারী বিষপান করে মুমুর্ষু অবস্থায় সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। প্রথমে তার শরীরের পাকস্থলী থেকে সেটি ওয়াশ করা হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। তিনি এখনো জ্ঞান ফিরে পাননি। এদিকে সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত সদর থানার এএসআই শাহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।