আবু সাঈদ হেলাল
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু বলেছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া সংগঠন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি স্পন্দনের নাম। দেশের সকল সাধারণ ছাত্রদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ১৯৪৮ সালের ৪টা জানুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ছাত্রলীগ। সেই থেকে দেশের সকল আন্দোলনে ছাত্রলীগ প্রথম সারিতে থেকে লড়েছে। আজও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার হাতধরে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি দেশের মানুষকে সাহস যুগিয়েছেন। সাধারণ মানুষের মাঝে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে গেছেন। করোনায় যখন সারাবিশ্বে অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। ঠিক তখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার উন্নয়ন প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ নিজের টাকায় পদ্মাসেতু তৈরি করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। দেশের সকল স্থানে সমভাবে উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। সকল স্থানে উন্নয়ন অগ্রগতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশের সকল স্থানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। কারণ দেশের মাঝে অরাজকতা সৃষ্টিতে একটি মহল সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
সোমবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে কেককাটা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা এ্যাড. মকবুল হোসেন মুকুল, আলতাফুর রহমান মাসুক, এমএ বাসেদ, মুনসুর রহমান মুন্নু, টি জামান নিকেতা, আসাদুর রহমান দুলু, শাহাদাৎ আলম ঝুনু, এ্যাড. জাকির হোসেন নবাব, রফিনেওয়াজ খান রবিন, আবু সুফিয়ান সফিক, এসএম রুহুল মোমিন তারিক, শুভাশিষ পোদ্দার লিটন, আমিনুল ইসলাম ডাবলু, সুলতান মাহমুদ খান রনি, মাশরাফি হিরো সহ আরও অনেকে।
এদিন সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা, সংগঠনের পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে আতসবাজি ফোটানো হয় ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।