বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক
ওয়াকিটকি ও মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিম। ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তার জামিনের আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) এরফান সেলিমের আইনজীবী প্রাণনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছিলাম। মাদকসংক্রান্ত অভিযোগের সাজায় আজ জামিন দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। ওয়াকিটকি রাখার দায়ে দেওয়া সাজায় ৩ জানুয়ারি তিনি জামিন পান।’
মদ্যপান ও অবৈধ ওয়াকিটকি ব্যবহার করার দু’টি অভিযোগে গত ২৬ অক্টোবর এরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মো. জাহিদুলকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে, এরফান সেলিমকে অব্যাহতির সুপারিশ করে অস্ত্র ও মাদক মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। তবে তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লাকে অভিযুক্ত করে দুই মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
ওই দিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে এরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। এরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেন।
এরপর ২৮ অক্টোবর র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় এরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন।