চলনবিল প্রতিনিধিঃসিরাজগঞ্জের তাড়াশে নুপুর পারভীন (১৩) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া গ্রামের শেখ পাড়ায় পালিত পিতা রেজাউল করিমের বাড়িতে তার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
পরে খবর পেয়ে দুপুরে তাড়াশ থানা পুলিশ ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাত্তুননেছা মুজিব হাসপালে মর্গে পাঠিয়েছেন। নুপুর স্থানীয় হামকুড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
রহস্য জনক মৃত্যুর বিষয়টি তাড়াশ থানা ওসি ফজলে আশিক নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, নুপুরের লাশ সুরতহালকালে আত্মহত্যা বা হত্যা বোঝা যায়নি। তাই বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় মরদেহটি ময়না তদন্ত করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, হামকুরিয়া গ্রামের নিঃসন্তান দম্পতি রেজাউল করিম প্রায় সাত বছর পূর্বে নুপুরকে উপজেলার নাদোসৈয়দপুর গ্রাম থেকে পালিত কন্যা হিসাবে বাড়িতে নিয়ে এসে লালন পালন করতে থাকেন। বর্তমানে পালিত মেয়ে নুপুর হামকুড়িয়া দাখিল মাদ্রসার ৭ম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছিল।
এদিকে রোববার রাতে নুপুরের সাথে তার পালিত মা আম্বিয়া খাতুনের কোন একটি বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা ও মনমালিন্যের সৃষ্টি হয়। পরে বুধবার সকালে নুপুরের শোবার ঘরে তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে তার বাবা স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিসৎকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে ওই চিকিৎসক নুপুরকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে নুপুরের পালিত মা আম্বিয়া খাতুন প্রচার চালায় নুপুর ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করেছে। এ খবর পেয়ে তাড়াশ থানার ওসি সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ওই বাড়িতে যান এবং নুপুরের আত্মহত্যার বিষয়টি সন্দেহ হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য সেখান থেকে নুপুরের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ওসি মো. ফজলে আশিক বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রী নুপুরের সুরতহাল করা কালে আত্মহত্যা বা হত্যার বিষয়টি স্পষ্ট না হওয়ায় তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।