বগুড়ার শেরপুরে ২০২০ সালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের রাজস্ব আয় সাড়ে ১৭ লাখ টাকা

189

শেরপুর (বগুড়া)প্রতিনিধি

বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১জানুয়ারি২০২০ থেকে ৩১ডিসেম্বর২০২০ পর্যন্ত সর্বমোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৭ লক্ষ ৪২হাজার টাকা ৪০ টাকা।
গত এক বছরে চার তৃতীয়াংশ সময় ছিল করোনা আতঙ্কের। তবুও থেমে ছিলনা শেরপুর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিয়াকত আলী শেখ এবং তৎকালীন সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ আলম রানা। জনকল্যাণে রাত দিন মাঠে থেকেছেন তারা। করোণা আক্রান্তদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সহ বহুবিধ জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছেন সর্বক্ষণ।

উপজেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালের মোট মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয় ৩৭৭ টি,
মামলার সংখ্যা ১,৬৭৬টি,
দণ্ডিত ব্যক্তি ১৬৭৬ জন, বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি ২১ জন,
অর্থদণ্ডে দণ্ডিত ১৬৫৫ জন এবং আদায়কৃত জরিমানার পরিমান ১৭,৪২,৭৪০/-
(সতের লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার সাতশত চল্লিশ) টাকা মাত্র।

সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮, দণ্ডবিধি ১৮৬০,
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন,২০০৯, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮,ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫,ঔষধ আইন ১৯৪০, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন২০০৯, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন২০০৯, বঙ্গীয় জুয়া আইন১৮৬৭, সরকারি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষীয় ভুমি ও ইমারত (দখল ও পুনরুদ্ধার) আদেশ ১৯৭০, করাত কল (লাইসেন্স) বিধিমালা ২০১২, ওজন পরিমাপ ও মানদণ্ড আইন, ২০১৮, বাংলাদেশ স্টান্ডার্স এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন আইন, ২০১৮, বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০, পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রন আইন ২০১১, মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০, বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ । ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালীন সময়ে মোট ১৮ টি আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। যতগুলো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে তারমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ লিয়াকত আলী সেখ, ২৩৬ টি মোবাইল কোর্টে ১,১১৯ জনকে ৭,৯৭৪০ টাকা জরিমানা করেন এবং ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। তৎকালীন সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ আলাম রানা ১৩০টি মোবাইল কোর্টে ৫০৩ জনকে ৭,৫৮,৫০০/-টাকা জরিমানা করেন এবং ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। বর্তমান কর্মরত সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা শারমিন ১১ টি মোবাইল কোর্টে ৩৩ জনকে ১,৮৯,৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, বি এস টি আই, আনসার বাহিনী,ফায়ার সার্ভিস, গ্রাম-পুলিশ, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের সংগঠন পুশাস এর সদস্যগণ সহায়তা করেন। ভেজাল নিয়ন্ত্রণ, মাদক নিয়ন্ত্রণ, বাল্য বিবাহ রোধ, মৎস্য সম্পদ রক্ষা, সরকারী জমি-সম্পদ রক্ষা, হোম কোয়ারান্টাইন, হোম আইসোলেশন, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতকরণ, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা, জনদূর্ভোগ লাঘব, সর্বোপরি, করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধকল্পে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের বিধি-নিষেধ কার্যকর করতে উক্ত মোবাইল কোর্টগুলি করা হয়।
জনস্বার্থে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত থাকবে।