৭মাসের বেতন ভাতা না পাওয়ায় গাবতলীতে মানবেতর জীবন যাপন করছে শতাধিক গ্রাম পুলিশ

116

মুহাম্মাদ আবু মুসা

বগুড়ার গাবতলীতে শতাধিক গ্রাম পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদ অংশের ৭মাস যাবৎ বেতন ভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ফলে গতকাল বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রওনক জাহান এর সাথে গ্রাম পুলিশরা দেখা করে দ্রুত বেতন ভাতা’র ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন জানান। জানা গেছে, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ১’শ ১১জন গ্রাম পুলিশ কর্মরত থাকলেও কিছু অবসরে যাওয়ায় বর্তমানে ১’শ ১জন দায়িত্ব পালন করছেন। এরা অর্ধেক সরকারী রাজস্ব থেকে আর অর্ধেক ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অর্থাৎ ১% থেকে বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন। এছাড়া সরকারীভাবে হাজিরা ভাতা পান তারা। কিন্তু সরকারী রাজস্ব থেকে অর্ধেক বেতন পেলেও দীর্ঘ ৭মাস যাবৎ হলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অর্থাৎ ১% থেকে বেতন ভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। এ ছাড়া সাপ্তাহিক থানায় যাতায়াত হাজিরা ভাতা ২০১৭ সাল থেকে বকেয়া রয়েছে বলে গ্রাম পুলিশরা জানান। সকলেই গ্রাম পুলিশ হলেও প্রতিটি ইউনিয়নে একজন ইনচার্জ (দফাদার) এর বেতন ভাতা মাসিক ৮হাজার ২’শ আর মহল্লাদার ৭হাজার ৭’শ টাকা বেতন ভাতা পান। এই স্বল্প বেতন ভাতায় পরিবার পরিজন নিয়ে চলাই কষ্টকর আবার সেখানে ৭/৮মাসের বকেয়া থাকে। অপর দিকে বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ করার জন্য গাবতলী উপজেলা গ্রাম পুলিশের নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে ০৫.৫০.১০০০.০১০.৪৬.০৩৩.২০.১০৪৪ (৩) নং স্বারকে বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধের জন্য গত ৬ডিসেম্বর/২০ বগুড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারঃ) উজ্জল কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেয়া হয়। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারীগণের বেতন-ভাতার ইউপি অংশ পরিশোধের ক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করের ১% হতে সংকুলন না হলে হাট-বাজার ইজারালব্ধ আয়ের ৪১% অর্থ হতে পরিশোধের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউপি-২ শাখার ২৩নভেম্বর/২০ তারিখের ৪৬.০১৭.০১৮.০০,০০৯.২০২১.৫২৯ নম্বর পত্রে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া গ্রাম পুলিশ সমূহের ইউপি অংশের বেতন-ভাতা ও সাপ্তাহিক থানায় যাতায়াত হাজিরা ভাতা অতিদ্রুত পরিশোধ করে অবহিত করার জন্য নিদের্শক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। এর পরও গাবতলীতে শতাধিক গ্রাম পুলিশ ৭মাস যাবৎ বেতন ভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিষয়টি সুরাহা’র জন্য সংশ্লিষ্ঠ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন গ্রাম পুলিশরা। এ ব্যাপারে গাবতলী উপজেলা গ্রাম পুলিশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাদশা মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী রমেশ চন্দ্র এর সাথে কথা বললে তারা উপরোক্ত তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ৭/৮ মাস হলে বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রওনক জাহান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অর্থাৎ ১% থেকে যে টাকা আসে তা খরচা’র খাতও রয়েছে। তাই সময়মত তাদেরকে বেতন-ভাতা দেয়া যায় না। তার পরও আগামী সপ্তাহে তারা ২/৩ মাসের বেতন ভাতা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।