অপহরণের ৫ দিন পর কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

164

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক
অপহরণের পাঁচ দিন পর পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ছোটদাপ এলাকা থেকে ফাহিদ হাসান সিফাত (১৮) নামের এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে র‍্যাপিড একশন ব্যাটলিয়ন (র‍্যাব)।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে অপহরণকারী মতিউর রহমানের (২৪) স্বীকারোক্তি মোতাবেক র‍্যাব মাটির নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১৩, নীলফামারী ব্যাটলিয়নের কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেরদৌস।
নিহত সিফাত ছোটদাপ এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে এবং দিনাজপুর আদর্শ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।

সিফাতের পরিবারের লোকজন জানান, গত ৪ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর ফিরেননি সিফাত। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। এমনকি তার ব্যবহৃত নম্বর দুটিও বন্ধ ছিলো। এঘটনায় পরদিন তথা ৫ জানুয়ারি আটোয়ারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

এরপর ৫ জানুয়ারি রাত ৯টার দিতে সিফাতের নম্বর থেকে ফোন আসে এবং পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অন্যথায়, সিফাতকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। একই ভাবে, ৬ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে আবার ওই নম্বর থেকে ফোন আসে। বিপরীত দিক থেকে সিফাতের কান্নার আওয়াজ শোনা যায়। এদিন বিকাশে আট হাজার টাকা দেওয়া হয়।

পরিবারের লোকজন আরও জানান, কোনোভাবেই সিফাতের সন্ধান না পেয়ে র‍্যাব-১৩ এর অধিনায়ক বরাবর ছেলে উদ্ধারের আবেদন করেন সিফাতের বাবা শফিকুল ইসলাম। এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তারা।

কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেরদৌস উদ্ধার পরবর্তী প্রেস ব্রিফিং-এ জানান, সিফাতের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে ছোটদাপ এলাকার মখলেছের ছেলে মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ওসমান গণির ছেলে লিমনকে (২২) গ্রেপ্তার এবং সিফাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দীন জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।