প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা ও পৌর বিএনপির অবৈধ পকেট কমিটি গঠনের প্রতিবাদ জানিয়ে ৭ দিনের মধ্যে রাতারাতি গড়া কমিটি বাতিল করে সদ্য বিলুপ্ত কমিটি পুনবহালের দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বগুড়া প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহবায়ক আবুল কাশেম। এসময় বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল ইসলাম, পৌর কমিটির আহবায়ক ইকবাল কবির পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান সুফলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে আবুল কাশেম বলেন, গত ১০/১০/১৯ সালে আবুল কাসেমকে আহবায়ক ও নুরুল ইসলামকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা ও ইকবাল কবির পলাশকে আহবায়ক ও মেহেদী হাসান সুফলকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পৌর কমিটি গঠন করা হয়।জেলা বিএনপির নির্দেশক্রমে গত ২৮/১১/২০ থেকে ১৩/১২/২০ পর্যন্ত দলকে পূর্ণগঠনের লক্ষ্য নিয়ে ১২টি ইউনিয়ন ও পৌর বিএনপির ৯ টি ওয়ার্ডের সম্মেলনের মাধ্যমে আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। জেলা বিএনপির কাছে কমিটিগুলো অবগত করলে তা অগ্রাহ্য করে, ১লা জানুয়ারি জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির আহবায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এড. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। ২রা জানুয়ারি নয়া কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি।
লিখিত বক্তব্য তিনি আরও বলেন, নয়া কমিটিতে আরেক যুগ্ম আহবায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল স্বাক্ষর করেনি, সোনাতলার একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকিরের স্বাক্ষরে অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই নেতা বলেন, গঠনতন্ত্রের কোন নিয়মে জাকির স্বাক্ষর করেন। তাহলে কি এই কমিটি জাকির সাহেবের পকেট কমিটি? বগুড়া বিএনপির ইতিহাসে নজিরবিহীন এই ঘটনায় আমরা হতবাক। জেলা বিএনপির হঠকারী সিদ্ধান্তে আমরা মানষিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও পর্যদুস্ত।
সারিয়াকান্দি বিএনপির ইতিহাসে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে, নেতারা আরও বলেন, বিএনপির লেবাসধারী কতিপয় নেতা আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিয়ে জেলা বিএনপিকে ভূল বুঝিয়ে দলীয় হাইকমান্ডকে না জানিয়ে দলের ভাঙ্গা গড়ার এই খেলায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামও অবগত নন।
কাশেম বলেন, ৯ সালে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আমাকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বেদম মারপিট করা হয়েছিল। ইলিয়াস ৯ টি রাজনৈতিক মামলার আসামি। তাঁর আপন বড় ভাইকে ১৩ সালে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, তখন বড় বড় নেতাদের ভুমিকা কি ছিল? অসংখ্য নেতারা মামলায় জেল খেটেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, নয়া কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সাদেক মোঃ আজিজ কোনদিন বিএনপি করেনি। এড. মোস্তাফিজারও কোনদিন বিএনপি করেনি ইউপি নির্বাচনে জামানত হারিয়েছিল। জামাতের নেতা আঃ কুদ্দুসকে ১৫ সালের ১৪ নভেম্বর বিএনপি বহিষ্কার করে, এখনো সে আদেশ প্রত্যাহার হয়নি। প্রয়াত এমপি মান্নানের এক মিটিংয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়। জাকারিয়া টিক্কা, আতাউর রহমান খান, আজিজার, সাইফুল ইসলাম বেলাল, আলী নুর আন্না, এরকম অনেকেই দল করেনি। বর্তমানে পৌর নির্বাচনে প্রার্থী ছাবিনা ইয়াছমিন বেবিও কোনদিন বিএনপি করেনি এখন তিনিও সদস্য।