প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ, তোলা হলো লাশ

161

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

অবশেষে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মেদিনী মন্ডল আনোয়ার চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু নাছের লিমনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের কবর থেকে লাশ তোলা হয়েছে। রবিবার দুপুর সোয়া একটার দিকে মাওয়া চৌরাস্তা সংলগ্ন পশ্চিম কুমারভোগ কবরস্থানে হতে মুন্সীগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াস শিকদারের উপস্থিতিতে পুলিশ কবর হতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

এর পূর্বে স্ত্রী হত্যার অভেযোগে শিক্ষক আবু নাছের লিমনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় অপর আসামি করা হয়েছে শিক্ষক লিমনের পরকীয়া প্রেমিকা দিলরুবা আক্তারকে। মামলার পর হতে শিক্ষক লিমন পলাতক রয়েছে। লিমন উত্তর মেদিনী মন্ডল গ্রামের ওহাব খার পুত্র এবং একটি জাতীয় পত্রিকার লৌহজং প্রতিনিধি হিসেবেও কর্মরত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক আবু নাছের লিমন প্রায় ১৬-১৭ বছর আগে তাহমিনা আক্তার ঝুমুরকে বিয়ে করে। গত ৫-৬ বছর পূর্বে দিলরুবা আক্তার নামে এক নারীর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে লিমন। বিষয়টি এক সময় জানাজানি হয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাধ লেগে থাকত। গত ২৪ জুলাই শিক্ষক লিমন তার পরকীয়া প্রেমিকা দিলরুবাকে নিয়ে বাড়িতে আসে। এ সময় স্ত্রী তাহমিনা দিলরুবাকে বাড়িতে থেকে চলে যেতে বললে লিমন ও দিলরুবা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে শ্বাসরোধর হত্যা করে। এর পর কাউকে কিছু না জানিয়ে অজ্ঞাতনামা ৫-৬জন মানুষ নিয়ে রাত আড়াইটার দিকে পশ্চিম কুমারভোগ কবরস্থানে লাশ দাফন করে।

এ ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশ নানা টালবাহানা শুরু করে। তাই আদালতের এ মামলা দায়ের করেছেন নিহত তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের ভাই মো. কামরুজ্জামান খান।

লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আলমগীর হোসাইন জানান, গত মাসে মামলাটি আদালত হতে থানায় আসে। ১০ জানুয়ারি একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত তাহমিনা আক্তার ঝুমুরের লাশ কবর হতে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।