শীতবস্ত্রে লোকসানের মুখে শেরপুরের ব্যবসায়ীরা

155

মোঃজাকির হোসেন, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

চলতি শীত মৌসুমে প্রায় অর্ধেক পার হতে চললেও শীতের প্রকৃত রূপ অনুভূত হচ্ছে না। যদিও মৌসুমের অর্ধেকের বেশি দিন বগুড়ার তাপমাত্রা তৃতীয় অবস্থানে রেকর্ড করা হয়েছিল পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে শীতের তীব্রতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
তাপমাত্রা এখন বাড়তে শুরু করেছে। বগুড়ার তাপমাত্রা ২১° ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করে বগুড়ার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ। পুরো শীত মৌসুমে শীতের তীব্রতা না থাকার কারণে বিপাকে পড়েছেন পুরাতন এবং নতুন শীতবস্ত্রের ব্যবসায়ীরা। বিক্রি কম হওয়ায় তারা আশঙ্কা করছেন বড় ধরনের লোকসানের।

হিমালয় কন্যা বলে খ্যাত পঞ্চগড় এর কাছাকাছি জেলা হওয়ায় পুরো পৌষ মাস ধরেই থাকে শীতের তীব্রতা। ইতিমধ্যে পৌষ মাস শেষের দিকে হলেও শীতের তেমন দাপট লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পৌষের শুরু থেকেই বগুড়ায় তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছিল কিন্তু দিনের বেলার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে শীতের দাপট কমে গেছে। তাপমাত্রা ব্যবধান বেশী হলে শীতও কমে।
তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া এবং উত্তরের হিমেল হাওয়ার না থাকার কারণে শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে না। যদিও শুক্রবারে রাতে দেখা মিলেছে কিছুটা কুয়াশার। দিনের আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন, মাঝে মাঝে দেখা মিলেছিল সূর্যের তারপরও অনুভূত হচ্ছে না শীতের তীব্রতা।

মৌসুমের শুরুতে শীতের তীব্রতা বেশি থাকার কারণে পুরাতন এবং নতুন শীতবস্ত্রের দোকানে ভির করেছিল শীতার্ত মানুষেরা। বিক্রিও বেশ জমে উঠেছিল। করোনার কারণে এ বছর দেশে শীতের কাপড়ের আমদানি হয়েছে কম। তাই দাম বেশ চড়া। অনেক ব্যবসায়ী চাহিদার কথা ভেবে বেশ চড়া দামে শীতবস্ত্র কিনে রেখেছিল।

কিন্তু দিন দিন শীতের তীব্রতা কমে যাওয়ায় এসব দোকানে কমে গেছে শীতার্ত মানুষের আনাগোনা। ফলে বিক্রি কমে গেছে অর্ধেকেরও বেশি। শেরপুর শহরের উত্তরা প্লাজা শেরশাহ নিউমার্কেট সৈয়দা কমপ্লেক্স শেরপুর প্লাজা সহ কয়েকটি বড় বড় মার্কেট রয়েছে। এসব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অলস দিনযাপন করছে।

এসব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, শীতবস্ত্রের দোকানে ক্রেতার সংখ্যা নিতান্তই কম। তাপমাত্রার এমন অবস্থা চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে খুব একটা বেশি শীত বস্ত্র বিক্রয় হবে না বলে ধারণা করা যাচ্ছে। ধারদেনা করে বেশি দামে শীতবস্ত্র ক্রয় করে এনে মৌসুমের মধ্যেই বিক্রি না করতে পারলে বা কম দামে বিক্রি করতে হলে ব্যবসা লাঠে উঠবে বলে সংশয় প্রকাশ করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। একই অবস্থা দেখা গেছে শেরপুরের হকার মার্কেট এবং বাস স্ট্যান্ড এলাকার নিম্নআয়ের পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ীদের দোকানেও।