মোঃ জাকির হোসেন
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে পৌরসভায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। আগামী ১৬ জানুয়ারি গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শেরপুর পৌরসভা নির্বাচন। করোনা আর শীতকে উপেক্ষা করে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দিনরাত। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন এবং দিচ্ছেন নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি। শহরের অলিগলি ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানারে। পৌর নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। লিফলেট এবং মাইকিং ছাড়াও চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতে নির্বাচনী প্রচারণা। নির্বাচনী এলাকায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ও চা দোকান গুলোতে সর্বত্র চলছে নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, শেরপুর পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৭৫৪ জন। তারমধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ৪১৫, মহিলা ১২ হাজার ৩৩৯। ৯টি ওয়ার্ডে ১১টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ন রয়েছে ৬টি কেন্দ্র।
দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য শেরপুর পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কেউ যেন কাউকে ছাড়িয়ে যেতে পারছে না। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, এমনটাই বোঝা যাচ্ছে ভোটারদের সাথে কথা বলে। ভোটারদের মতামত অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে নৌকা, ধানের শীষ এবং জগ প্রতীক নিয়ে মাঠে নামা তিনজন হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী। এছাড়াও ৯টি কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন এবং ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
শেরপুর পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার বলেন, পৌরবাসী আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করলে আমি আমার অসমাপ্ত কাজ শেষ করব। আমি আশা করি পৌরবাসী আমাকে আবারো মেয়র নির্বাচিত করলে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার সুযোগ পাবো।
অপরদিকে ধানের শীষ প্রতীক বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী স্বাধীন কুমার কুন্ডু বলেন ইতিপূর্বে আমিও একবার নির্বাচিত মেয়র ছিলাম আমাকে নির্বাচিত করলে পৌরসভার রাস্তাঘাট ড্রেনেজ ব্যবস্থা সহ অন্যান্য উন্নয়ন মূলক কাজ ত্বরান্বিত করে শেরপুর পৌরসভা কে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলবো।
জগ প্রতীক নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বিএনপি’র কান্ডারী খ্যাত বঞ্চিত, জনপ্রিয় হেভিওয়েট নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মো: জানে আলম খোকা। তিনি বলেন শেরপুর পৌরসভাটি একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হলেও নাগরিকরা সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পৌরসভার বিশেষ এলাকায় শুকর এবং কুকুরের অভায়ারণ্য হয়ে উঠেছে। পৌরবাসী আমাকে নির্বাচিত করবে বলে আমি আশা করি এবং আমি বেওয়ারিশ কুকুর, ডাস্টবিনের ব্যবহার, পরিষ্কার পরিছন্নতা, রাস্তার লাইটিং, ড্রেনেজ সিস্টেমের সঠিক বাস্তবায়ন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহ রাস্তাঘাটের উন্নয়নে সদা সচেষ্ট থাকবে। আমার বিশ্বাস যেহেতু পৌরবাসী আমাকে ভালোবাসেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে অবশ্যই আমি পৌরবাসীর ভোটে নির্বাচিত হব।
ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ইমরান কামাল বলেন আমাকে নির্বাচিত করলে শেরপুর পৌরসভা কে আমি একটি আধুনিক পৌরসভায় পরিনত করব।