শিকাগোতে হামলা: বন্দুকধারীসহ নিহত ৪,গুলিবিদ্ধ ৪ নারী-শিশু

113

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের বিভিন্ন স্থানে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও চারজন নারী ও শিশু। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে পুলিশের সঙ্গে গুলিবিনিময়ে জেসন নাইটেঙ্গল (৩২) নিহত হয়।

রোববার (১০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় মধ্যরাতে শহরটির এভান্সটনের কয়েকটি এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয় বলে জানায় পুলিশ। পরে পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারীও মারা যায়।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (৩০)। অন্য দুইজনের মধ্যে একজন ২০ বছর বয়সী যুবক এবং অপরজন একটি ভবনের নিরাপত্তাকর্মী (৪৬)। আর আহতদের মধ্যে দুইজন বৃদ্ধা (বয়স যথাক্রমে ৭৭ ও ৮১ বছর), একজন নারী ও ১৫ বছরের এক কিশোরী।

পুলিশের ধারণা, হামলাকারী মানসিক বিকারগ্রস্ত হতে পারে। ঘটনার ক্লু উদ্ধারে শিকাগো পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

মাত্র চার ঘণ্টার ব্যবধানে সিরিজ ওই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনা তদন্তে এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে শিকাগো পুলিশ।

শিকাগোর পুলিশ কর্মকর্তা ডেভিড ব্রাউন জানান, শনিবার দুপুরে শহরের দক্ষিণ দিকে হাইডি পার্ক সংলগ্ন এলাকায় শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা করে জেসন নাইটেঙ্গল। এরপর সে পাশের একটি বহুতল ভবনে ঢুকে পড়ে। সেখানে ঢুকেই একজন নিরাপত্তাকর্মী এবং বৃদ্ধাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়। বৃদ্ধাও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

সেখান থেকে বের হয়ে পাশের একটি দোকানে গিয়ে ২০ বছর বয়সী এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে জেসন। একই সঙ্গে ৮১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার মাথায় গুলি করে সে। ওই দোকান থেকে বের হওয়ার সময় রাস্তায় ১৫ বছর বয়সী কিশোরীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। ওই কিশোরী তার মায়ের সাথে গাড়িতে করে যাচ্ছিল। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায় নাইটেঙ্গল। পরে সে শহরের উত্তর ইভাস্টন এলাকায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে একটি রেস্তোরাঁয় এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে একজন নারী গুলিবিদ্ধ হন। পরে শিকাগো সীমান্তে পার্কিং লটে পুলিশের মুখোমুখি হয় জেসন। সেখানে গুলিবিনিময়ের সময় বন্দুকধারী জেসন নিহত হয়।

প্রসঙ্গত, শিকাগো ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের একটি শহর। এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম জনবহুল শহর। এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের রকফোর্ড শহরে বন্দুকধারীর হামলায় তিনজন নিহত ও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছিলেন।