পিকে হালদারের ভুয়া প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি টাকা জব্দ

115

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

পিকে হালদারের পিপল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড ভুয়া চার প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় বলে তথ্য মিলেছে দুদকের অনুসন্ধানে। এরই প্রেক্ষিতে কোম্পানিগুলোর নামে থাকা ৯৬০ কোটি টাকা জব্দ করেছে দুদক। অন্যদিকে এসব প্রতিষ্ঠানের ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের দ্বিতীয় দিনেও অভিযুক্তরা দুদকে হাজির হন নি।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) ন্যাচার এন্টার প্রাইজ ও এমটিবি মেরিন লিমিটেডের মালিক নওশের উল ইসলাম ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম এবং এমটিবি মেরিন লিমিটেডের মালিক সনজিব কুমার হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা থাকলেও কোন অভিযুক্ত নিজের বক্তব্য রাখতে দুদকে হাজির হন নি।

পিপল লিজিং এর ৩৬শ কোটি টাকা লোপাটের পেছনে রয়েছে পিকে হালদারের আত্মীয় স্বজনের নামেই ভুয়া প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক হিসাব খুলে ঋণ দেয়া। সে অর্থের খোঁজে নতুন সব তথ্য মিলছে দুদকের অনুসন্ধানে। পিপল লিজিংয়ের নওশেরুল ইসলাম, মমতাজ বেগম, বাসুদেব ব্যানার্জী ও পাপিয়া ব্যানার্জীর নামে খোলা ভুয়া কোম্পানির নামে ৩ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয়। যার মধ্যে ৯৬০ কোটি টাকা ছাড়া বাকি অর্থ এরই মধ্যে তুলে নেয়া হয়।

তথ্য প্রমাণের প্রেক্ষিতে এরই মধ্যে নওশেরুল ইসলামের কোম্পানির ৯৫২ কোটি টাকা, মমতাজ বেগমের নামের কোম্পানির হিসাবের ২.৬৯ কোটি টাকা, বাসুদেব ব্যানার্জীর কোম্পানির ৪.৬৪ কোটি টাকা, পাপিয়া ব্যানার্জীর নামে থাকা কোম্পানির ৬১ লক্ষ টাকা জব্দ করেছে দুদক। বাকি অর্থ এসব ব্যক্তির হিসাবের মাধ্যমে পাচার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে এসব অভিযুক্তরাসহ দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হন নি কোম্পানি ও অর্থলোপাটের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অভিযুক্ত ৫ জন। দু দফার নোটিশে পিপল লিজিংসহ অর্থ পাচারে সহযোগিতায় ন্যাচার এন্টার প্রাইজ ও এমটিবি মেরিন লিমিটেডের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতনকে জিজ্ঞাসাবাদে তলব করা হয়।

এছাড়া প্রথমদিনের জিজ্ঞাসাবাদে অনুপস্থিত ছিলেন পিপলস লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান এবং সাবেক পরিচালক আরেফিন সামসুল আলামিনও।

দুদক সূত্র জানায়, আগামী দুই কার্যদিবসে পিপল লিজিং ফিন্যান্সিয়াল এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের সিইও-সহ এসব প্রতিষ্ঠানের আরো ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে অভিযুক্তরা তাদের বক্তব্য দিতে দুদকে উপস্থিত না হলে অভিযোগের বিষয়ে তাদের কোন বক্তব্য নেই বলে গণ্য হবে।

এর আগে পিকে হালদারের নামে বেনামে থাকা সম্পদ আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হয়।