সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে আলোচিত নায়িকা ভীনার মামলা

123

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর প্রচারণার অভিযোগে সাবেক স্বামী আসাদ বশির খান খাত্তাকের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি রুপির মানহানি মামলা করেছেন পাকিস্তানের বহুল বিতর্কিত অভিনেত্রী ভীনা মালিক। সোমবার করা ওই মামলায় বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসাদের মানহানিকর প্রচারণায় তার সুনাম নষ্ট হয়েছে। ব্যবসার সুযোগ নষ্ট হয়েছে। বিভিন্ন রকম চুক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া এর মধ্য দিয়ে তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এ জন্য তিনি আইনজীবী আনজুম হামিদের মাধ্যমে জেলা ও সেশন জজ কোর্টে মামলা ফাইল করেছেন। এতে তিনি বলেছেন, ভীনা মালিক একজন পাকিস্তানি অভিনেত্রী, টিভি উপস্থাপিকা, রিয়েলিটি টিভি ব্যক্তিত্ব এবং মডেল। তিনি পাকিস্তানি ও বলিউডের ছবিতে অভিনয় করেছেন।
এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। ওই মামলায় ভীনা মালিক আরো বলেছেন, ভীনা মালিক পাকিস্তানের সবচেয়ে খ্যাতনামা সেলিব্রেটির মর্যাদা উপভোগ করছেন। তিনি নিজদেশ পাকিস্তান ও বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ ভক্তের আইডলে পরিণত হয়েছেন। তারা তাকে ভক্তি করে। অনুসরণ করে।
কিন্তু তার বিরুদ্ধে আসাদের এমন প্রচারণায় তার সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০ কোটি রুপির। ব্যবসার কুযোগ নষ্ট হয়েছে ৪০ কোটি রুপির। চুক্তি হারিয়েছেন ৮ কোটি রুপির। ২ কোটি রুপির মানসিক ক্ষতি হয়েছে তার নির্যাতনে। মামলায় বলা হয়েছে, তিনি আসামীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। তারা হলো ছেলে আব্রাম খান এবং মেয়ে আমাল খান। কিন্তু এই দম্পতির মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে। তা কার্যকর হয়েছে ২০১৭ সালের ২৬ শে মে। বিয়ের আগে আসাদ ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ। কিন্তু বিয়ে করে তিনি জনপ্রিয়তা পান। তিনি পরিচিতি পান ভীনা মালিকের স্বামী হিসেবে। কিন্তু তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর তিনি ভীনা মালিকের বিরুদ্ধে ফেসবুক ও টুইটার সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রচার করে যাচ্ছেন। এতে ভীনা মালিকের মানহানি হয়েছে। এতে তিনি ভিডিও প্রচার করে এবং বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাতকার প্রচার করে সত্যের অপলাপ করছেন। এসব পোস্ট বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ দেখছেন। পরিবারের সদস্যরা দেখছেন। বন্ধুরা দেখছেন। এর ফলে অভিনেত্রী ভীনা মালিকের আর্থিক দিক দিয়ে ভীষণ ক্ষতি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানে ভীনা মালিক খুবই পরিচিত ও জনপ্রিয়। তিনি একবার এফএইচএম ম্যাগাজিনের ভারতীয় সংস্করণে নগ্ন পোজ দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন। ওই ছবিতে তার বাহুতে লেখা ছিল আইএসআই। এটা দিয়ে পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সকে বোঝানো হয়েছে। ভীনা বলেছেন, তিনি ছিলেন টপলেস। ওই ছবিতে তিনি পুরো নগ্ন ছিলেন না। ফলে তিনি ওই ছবির জন্য ম্যাগাজিনটির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।