মোঃ জাকির হোসেন
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নে ইটালি গ্রামের ব্যবসায়ী ফরিদুল কে নিশৃংশভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ৫ জানুয়ারি। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে এডিশনাল এসপি গাজীউর রহমানের নেতৃত্বে ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে শেরপুর থানা পুলিশ এবং আলামত জব্দ করে।
জানা যায় প্রতিদিনের মত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার দিনে ৫ জানুয়ারী সন্ধ্যার পর ব্যবসায়ী ফরিদুল ছোনকা বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে যায়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার পারিবারিক সদস্যরা আগে থেকেই উৎপেতে থাকে তার বাড়ির গেটে। ফরিদুল পৌঁছামাত্রই অতর্কিতে তার উপর চাপাতি, ছুরি,বটি দিয়ে আক্রমণ করে এবং কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে আসামিরা পালিয়ে যায় বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে পুলিশের কাছে।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনা এবং এডিশনাল এসপি গাজীউর রহমানের নেতৃত্বে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম শহীদ এবং তদন্ত আবুল কালাম আজাদ এর সহযোগিতায় একদল চৌকস পুলিশ টিমের অক্লান্ত পরিশ্রমে মাত্র ৭ দিনে এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হয়। এডিশনাল এসপি গাজীউর রহমানের নেতৃত্বে মানিকগঞ্জ থেকে আসামি আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে আটককৃত আসামিদের সঙ্গে নিয়ে এডিশনাল এসপি গাজীউর রহমানের নেতৃত্বে ভিকটিমের বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা চাপাতি, ছুরি, বটি, মই ইত্যাদি আলামত জব্দ করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধারের জন্য পুলিশ টিম ইটালি গ্রামে পৌঁছালে গ্রামের শতশত মানুষ সেখানে উপস্থিত হয় এবং শেরপুর থানা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। আবেগে আপ্লুত হয়ে মামলার বাদী তথা মৃতের স্ত্রী এডিশনাল এসপিকে ফুল উপহার দিয়ে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ প্রসঙ্গে উপস্থিত গ্রামবাসীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেন।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান আসামিদের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে এবং আটককৃত আসামিদের সাথে নিয়ে তার ঘর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয় ।