দেশের দ্রুততম মানবী শিরিন, মানব ইসমাইল

108

খেলাধুলা ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু ৪৪তম জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার প্রথম দিনে দ্রুততম মানব-মানবীর স্থান নিজেদের দখলেই রাখলেন নৌবাহিনীর ইসমাইল হোসেন আর শিরিন আক্তার। টাইমিং আগের চেয়ে খারাপ হলেও করোনার শাপ কাটিয়ে ট্র্যাকে ফিরতে পেরেই সন্তুষ্ট এ স্প্রিন্টাররা। টার্ফ নিয়ে অ্যাথলিটদের অভিযোগ থাকলেও দ্রুতই সেই সংকট কাটবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মন্টু।

সারা বছর ক্রিকেট আর ফুটবলের দিকে চোখ থাকলেও বছরে অন্তত এ আসরে অ্যাথলেটিক্সের খোঁজটা নেন ক্রীড়ামোদীরা। বিশেষ করে বলতে গেলে পুরো আলোটাই থাকে একটা ইভেন্টে। সবার জানতে চাওয়া কারা হলেন দেশের দ্রুততম মানব আর মানবী!

আবারও আক্ষেপ, নেই কোনো নতুন মুখ। ১০ দশমিক ৫ সেকেন্ডে ১০০ মিটার অতিক্রম করে টানা তৃতীয়বার দ্রুততম মানবের খেতাবটা পেয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ইসমাইল হোসেন।

তার সতীর্থের রেকর্ডটা আরও সমৃদ্ধ। টানা ১১ বার নারীদের ১০০ মিটার ইভেন্টের স্বর্ণ গলায় ঝুলিয়েছেন শিরিন। সময় নিয়েছেন ১১ দশমিক ৮ সেকেন্ড। ক্যারিয়ারে এর চেয়ে অনেক ভালো টাইমিংয়ের রেকর্ড আছে দুজনেরই। তবে করোনাকালে ট্র্যাকে ফেরাটাকেই মুখ্য মনে করেছেন তারা।

শিরিন বলেন, টানা এগারোবার আমি দ্রুততম মানবী হতে পেরেছি, তবে টাইমিং আরেকটু ভালো হলে কোচ খুশি হতেন। তার প্রত্যাশা আরও বেশি ছিল। ইলেকট্রনিক টাইমারে আমার রেকর্ড ভাঙতে চাই, তবে দেশে বোর্ড না থাকায় বিদেশের মাটিতে খেলার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। আগের রেকর্ডটি ভারতের গৌহাটিতে করেছিলাম।

ইসমাইল বলেন, করোনার সময়ে আমরা খুব বেশি অনুশীলন করতে পারিনি। তারপরও দ্রুততম মানবের স্থান ধরে রাখতে পেরে আমি সন্তুষ্ট। টার্ফে কিছুটা সমস্যা আছে। পুশ করলে সেটা ব্যাক করে না।

সিনথেটিক টার্ফ নিয়ে অ্যাথলিটদের আক্ষেপটা দ্রুতই ঘুচতে যাচ্ছে। আর প্রতিভাবান নতুন মুখদের নিয়ে নিবিড় প্রশিক্ষণের পরিকল্পনাও আছে ফেডারেশনের।

অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মন্টু বলেন, টার্ফের সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। ইনশাআল্লাহ ২০২২ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম নতুনরূপে সাজবে। সেখানে জিমনেসিয়াম, ওয়ার্ম আপ প্লেস, ইলেকট্রনিক বোর্ড – সব সুবিধাই থাকবে।

বঙ্গবন্ধু ৪৪তম অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার প্রথমদিনে শটপুট, হাইজাম্প, ৪ X ১’শ মিটার রিলেসহ মোট ১০টি ইভেন্টের স্বর্ণ পদকের নিষ্পত্তি হয়েছে।