বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক
ঢাকার ধামরাইয়ে অপহরণ মামলায় পালিয়ে থাকা প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে গত দুদিন ধরে দ্বিতীয়বারের মতো অবস্থান করছেন স্বপ্না (ছদ্ম নাম) নামের একটি মেয়ে। একদিকে চলছে অপহরণ মামলা, অপরদিকে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান। এতে মহাবিপাকে পড়েছে প্রেমিকের পরিবার, প্রেমিকার পরিবারেও অস্বস্তি। ঘটনাটি ঘটেছে ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের পাবরাইল গ্রামে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ধামরাইয়ের পাবরাইল গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে শহিদুল ইসলামের সাথে প্রায় তিন বছর আগে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে একই গ্রামের মেয়ে স্বপ্নার। প্রায় ২০ দিন আগে শহিদুলের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে ওঠেন স্বপ্না। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে মেয়ের বাবা শহিদুল, তার বড় ভাই-ভাবী ও মাকে আসামি করে ধামরাই থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় স্বেচ্ছায় শহিদুলের সাথে গিয়েছে মর্মে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন স্বপ্না। বিয়ের বয়স না হওয়ায় তাকে বাবার জিম্মায় দেন আদালত। এদিকে জামিন নেন শহিদুলের ভাই, ভাবী ও মা। ওই মামলায় পলাতক রয়েছেন শহিদুল ইসলাম। গতকাল শুক্রবার বিয়ের দাবিতে শহিদুলের বাড়িতে ফের অবস্থান শুরু করেছেন স্বপ্না।
এসময় বিয়ের দাবিতে অবস্থান করা স্বপ্না সাংবাদিকদের জানান, ভালোবেসে মনের মানুষকে বিয়ে করতেই আমি এ বাড়িতে নিজেই চলে এসেছি। আমাকে কেউ অপরহণ করেনি। অথচ আমার বাবা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার হবু স্বামী ও তার পরিবারকে অপহরণ মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
শহিদুলের বড়ভাই শরিফুল ইসলাম জানান, বিয়ের দাবি নিয়ে আমাদের বাড়িতে উঠেছে স্বপ্না। আমরা তাকে বাড়িতে ফিরে যেতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু সে যাচ্ছে না। এতে আমরা চরম হয়রানি শিকার হচ্ছি।