বগুড়ার শেরপুর পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সম্পন্ন

132

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শেরপুরে ১৬ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে শেষ হলো।

নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে, অপেক্ষা ফলাফল প্রকাশের। ঘন কুয়াশা এবং শীত উপেক্ষা করে পৌরসভার ভোটার উপস্থিত হয়েছে ভোট কেন্দ্রে সারিবদ্ধ ভাবে একের পর এক শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছেন তারা। ভোটাররা খুশি নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরে। আহসান হাবীব, জহুরুল ইসলাম সহ অনেক ভোটার বলেন, অনেকদিন পর সবাই একসঙ্গে ভোট দিতে পেরে আনন্দ লাগছে।

ত্রিমুখী প্রতিযোগিতার এই নির্বাচনে নৌকা এবং ধানের শীষের উভয়ের বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক স্বতন্ত্র প্রার্থীর জগ মার্কা। সুধীজনদের ধারণায় মার্কা নয় ব্যক্তিগত ইমেজ এবং প্রার্থীর প্রতি জনগণের ভালোবাসাকে কেন্দ্র করেই অনুষ্ঠিত হয়েছে পৌরসভার এই নির্বাচন।
১৬ জানুয়ারি শনিবার গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শেরপুর পৌরসভা নির্বাচন। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা এবং ভোটাররা জড় হয়েছে ভোট কেন্দ্রে। ১১টি ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে। ভোটকেন্দ্রের বাহিরের পরিবেশ-পরিস্থিতি ছিল ভালো। ভ্রাম্যমান আদালতের একজন জাল ভোটার কে সাত দিনের কারাদণ্ড প্রদান ছাড়া অন্য কোনো রকম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়নি দেখা গেছে।

ভোটাররা সিদ্ধান্ত প্রয়োগ করছেন ব্যালট পেপারে। যেটুকু বাকি রয়েছে তা শুধু তাদের মূল্যবান ভোট গণনা, আর এটি সময়ের অপেক্ষায়। ৩/৪ ঘন্টা পরেই জানা যাবে কে বসছেন শেরপুর পৌরসভার মসনদে।

সরোজমিনে, নয়টি ওয়ার্ডের ১১ টি ভোট কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে আলোচনা করে যেটি জানা যায়, প্রায় অর্ধেকের বেশি সংখ্যক ভোটার বিগত সময়কার পৌরসভার অবহেলিত রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ সিস্টেমের অব্যবস্থাপনা, অপরিচ্ছন্নতা, শুকর এবং বেওয়ারিশ কুকুরের মত নিকৃষ্ট জীবের অবাধ পদচারণায় অতিষ্ঠ পৌরবাসী। এছাড়াও নেই পৌরসভার লাইট পোস্টগুলোতে ন্যূনতম বাতির ব্যবস্থা। জলাবদ্ধতায় আবদ্ধ থাকার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন ভোটাররা।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে এমনটাই বোঝা যাচ্ছে। ভোটারদের মতামত অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে নৌকা এবং বিএনপির বহিস্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ প্রতীক নিয়ে মাঠে নামা হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী। এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীই হতে পারে নৌকা অথবা ধানের শীষ প্রার্থীর জেতার পথে বাঁধা। এছাড়াও ৯টি কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন এবং ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, শেরপুর পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৭৫৪ জন। তারমধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ৪১৫, মহিলা ১২ হাজার ৩৩৯। ৯টি ওয়ার্ডে ১১টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে আনুমানিক ৭০ পার্সেন্ট বা তার বেশি ভোটার ভোট প্রয়োগ এ অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।

শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী শেখ জানান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে সুশৃংখল একটি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত করতে পেরেছি।