সিরাজগঞ্জের পাঁচটি পৌরসভায় শান্তিপুর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ চলছে

113

এসএমএ কামাল পারভেজ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জ সদরসহ বেলকুচি, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ ও কাজিপুর উপজেলার পৌরসভাগুলোতে ভোট গ্রহণ শান্তিপুর্ন ভাবে চলছে।

আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে একযোগে ৫টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

৫টি পৌরসভার মধ্যে কাজিপুরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় মেয়র পদে নির্বাচন হচ্ছে না। বাকি ৪টিতে মেয়র পদে ১৪, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ৮২ ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচন এলাকাগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে আনন্দ ঘন পরিবেশের মধ্যেদিয়ে ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এদিকে ৫ পৌরসভার ১২০টির মধ্যে ৭৬টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ২৬টি এবং ঝুঁকিপূর্ণ ৫০। সদর পৌরসভায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৩৯টি। এর মধ্যে ১৩টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।

সিরাজগঞ্জ রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রগুলো জানায়, জেলার ৫টি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৫ হাজার ৪৩ ও মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২০টি। এর মধ্যে বেলকুচিতে ভোটার সংখ্যা ৫৩ হাজার ৩৬৬, ভোটকেন্দ্র ২৬, উল্লাপাড়ায় ১৭টি ভোটকেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫০৩, রায়গঞ্জে ১০টি ভোটকেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৮৬৭, সদর পৌরসভায় মোট ভোটার ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২৬ ও কেন্দ্র সংখ্যা ৫৭টি এবং কাজিপুরে মোট ভোটকেন্দ্র ১০টি ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৩৮১।

সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আবুল হোসেন বলেন, সুষ্ঠু শৃঙ্খলা ও নির্বাচনী নীতিমালা অনুসরণ করে শুক্রবার বিকেলেই ৫টি নির্বাচনী পৌর এলাকার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি ও আনুসাঙ্গিক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ সম্পন্ন করে নির্বাচনে নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপির কর্মকর্তা ও সদস্যদের যথাযথ নিয়োগদানে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. হাসিবুল আলম জানান, নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ৪ জন করে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ৫ জন থাকবে। এছাড়া অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশের মোবাইল টিমের নজরদারি থাকবে সার্বক্ষণিক।