প্রধানমন্ত্রীর আরও দুটি প্রণোদনা তহবিল

138

বগুড়া এক্সপ্রেস ডেস্ক
করোনা সংকট মোকাবিলায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য স্থিতিশীল রাখতে ২০২০ সালজুড়ে দফায় দফায় বিভিন্ন অঙ্কের প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা ও বাস্তবায়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এবার ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার আরো দুটি প্রণোদনা তহবিল উন্মুক্ত করল সরকার। রোববার (১৭ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা সংকট মোকাবিলায় দেশের কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে গতি সঞ্চার, গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র বয়স্ক ও বিধবাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নতুন করে আরো দুটি প্রণোদনা কর্মসূচি অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কর্মসূচি দুটিতে সরকার মোট বরাদ্দ দিতে যাচ্ছে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। শিগগির এই তহবিলের অর্থ বিতরণ শুরু করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও প্রণোদনা প্যাকেজের যাবতীয় দিক নিয়ে অর্থ বিভাগ সম্প্রতি তিনটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করে। এ সভাগুলোতে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা, ব্যবসায়ী নেতারা, ব্যাংক, উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন খাতের অংশীজন, গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এসব সভায় করোনা মোকাবিলায় গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ব্যাংক ব্যবস্থার পাশাপাশি কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও আধাসরকারি সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো, নারী-উদ্যোক্তা উন্নয়নে আরও পদক্ষেপ নেওয়া এবং দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অব্যাহত রাখতে পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র অসহায় পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের জন্য সুপারিশ করেন অংশগ্রহণকারীরা।

জানানো হয়েছে, নতুন অনুমোদন পাওয়া প্রথম প্যাকেজের আকার এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যার আওতায় ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প খাত ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য গৃহীত কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থাকে (বিসিক) ১০০ কোটি টাকা এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে এনজিও ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি টাকা, সোসাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে ১০০ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডকে দেওয়া হবে ৩০০ কোটি টাকা।

অনুমোদিত দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের ১৫০টি উপজেলায় দরিদ্র্য সব বয়স্ককে এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা সব নারীকে ভাতার আওতায় আনা হবে।

নতুন অনুমোদিত এই দুটিসহ মোট প্রণোদনা প্যাকেজের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩টিতে। এসব তহবিলে বরাদ্দ দেয়া মোট অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা, যা দেশের মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ।