সুযোগ পেলে বলুন ‘ধন্যবাদ’

254

অনলাইন ডেস্ক

একটা ছোট শব্দ ‘ধন্যবাদ’। এতেই মহাখুশি হতে পারেন বিপরীত দিকের মানুষ। ঘর থেকে বের হওয়ার পর কতশত কাজে কতজনের সঙ্গেই কথা হয় এসব কথার মধ্যে যদি বিপরীত দিকের মানুষটিকে ধন্যবাদ বলতে পারেন তাহলে আপনার কাছেও যেমন ভালো লাগবে তেমন তিনিও খুশি হতে পারেন। কারোর সামান্যতম উপকারের বিনিময়ে আপনি যদি ধন্যবাদ বলেন, তাহলে তিনি যে শুধুমাত্র খুশি হবেন তা নয়, সেই সঙ্গে দৃঢ় হবে মানুষের সঙ্গে মানুষের বন্ধন। আরও যেসব কারণে সুযোগ পেলে ধন্যবাদ বলতে পারেন।

মনোবল বাড়ায়

নানা কারণেই অনেক সময় মানুষ আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। এমন অনেক পরিস্থিতি আসে যা মানুষকে দুর্বল করে দেয়য। ঘুরে দাঁড়ানোর মতো ক্ষমতাও থাকে না। আর তাই এমন মানুষদের কোনো ভালো কাজের প্রশংসা যেমন সবসময় করবেন, তেমনই কোনোকিছুর বিনিময়ে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না। এতে তাদের মনের মধ্যে আবারও ফিরবে আত্মবিশ্বাস। সেই সঙ্গে সমাজ সম্বন্ধে একটা ভালো ধারণাও তৈরি হবে।

অপরিচিতের সঙ্গে মেলবন্ধন

বাসে বা বাজারে এখনও কিন্তু কোনো অপরিচিত ব্যক্তি এগিয়ে আসেন আপনি সমস্যায় পড়লে আপনাকে উদ্ধার করতে। এমন কোনো ব্যক্তির সাক্ষাৎ আপনি পেয়েছেন? তাহলে অন্তত একবার তাকে ধন্যবাদ জানান। এমনও হলো যে, কোনো অপরিচিতের কথায় আপনি মুগ্ধ হলেন। তখন মনে মনে না বলে তাকে একবার সামনে গিয়ে ধন্যবাদ বলুন। সেই সঙ্গে তার কথা যে আপনার ভালো লেগেছে তা বোঝাতে ভুলবেন না।

বাড়বে যোগাযোগ

আজকাল দূরত্ব বেড়েছে, যোগাযোগ নিভেছে। মানুষ সর্বদাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। কারোর খোঁজ খবর নেওয়ার সুযোগ নেই। যেটুকু খোঁজ খবর জোটে তাও ওই সামাজিক মাধ্যম মারফত। তাই যিনি আপনার বাড়িতে সব পৌঁছে দিচ্ছেন, তার সঙ্গে কড়া ভাষায় কথা না বলে একটা ধন্যবাদ বলুন। দেখবেন, মন থেকে আপনার নিজেরই ভালো লাগছে।

মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়

গত প্রায় এক বছর ধরে খুবই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। আর এমন কঠিন পরিস্থির সম্মুখীন হয়ে অনেকেই ভালো থাকা প্রায় ভুলে গিয়েছেন। কেউ যে কারোর ভালো চাইতে পারে এটাও এখন সকলের কাছে বিস্মৃত। তাই আপনি কাউকে ধন্যবাদ বললে তিনি তার পজিটিভিটি ফিরে পাবেন। সেই সঙ্গে তৈরি হবে দীর্ঘ সূত্রতাও।

মানুষ হিসেবে আপনি কেমন তা বোঝা যায়

অনেকেই ভাবেন ধন্যবাদ জ্ঞাপন মানে ছোট হয়ে যাওয়া। সবাই চান আমিই সেরা এটা যেন বজায় থাকে। ফলে খুব সহজে কেুই ধন্যবাদ বলতে চান না। বরং সুযোগ পেলে অবশ্যই ধন্যবাদ জানান। এতে মানুষ হিসেবে আপনি কেমন প্রকৃতির তা সহজেই বোঝা যাবে।