অনায়াসেই জিতল আর্সেনাল

105

খেলাধুলা ডেস্ক
নিউক্যাসেল ইউনাইটেডকে উড়িয়ে দিলো আর্সেনাল। এমিরেটসে ৩-০ গোলে জিতল গানাররা। জোড়া গোল করেছেন পিয়েরে ওবামেয়াং। এমিরটসে নামার আগে থেকেই আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল আর্সেনালের। ইতিহাস বলছে, শেষ দেখা হওয়া ১৫ ম্যাচের ১৪টিতেই জিতেছে গানাররা। সঙ্গে সাম্প্রতিক ফর্মটাও পালে হাওয়া দিচ্ছিল আর্টেটা বাহিনীর। আর স্টিভ ব্রুস শিষ্যদের অবস্থা ছিল একেবারেই উল্টো। না পরিসংখ্যান, না ফর্ম কিছুই যে পক্ষে ছিল না তাদের।

ফর্মশনে অবশ্য বোঝার উপায় ছিল না, চাপে আছে কোন দল। আর্সেনালের প্রথাগত ৪-২-৩-১ এর নেতৃত্বে ছিলেন লাকাজতে, ওবামেয়াং আর সাকা। অন্যদিকে নিউক্যাসেল ইউনাইটেড ছিল একেবারে স্টেরিওটাইপ ৪-৪-২ এ।

ম্যাচ শুরু হতেই অবশ্য, ভেঙে যায় সব ভবিষ্যৎ বাণী। আর্সেনালের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়তে থাকে নিউক্যাসেল। আক্রমণেও উঠে সমানে সমান। গোলও পেয়ে যেতে পারতো সাদা-কালোরা। যদি না আলমিরনের শটটা উড়ে যেতো বার ঘেঁষে।

পালটা আক্রমণে আর্টেটা বাহিনীও কাপিয়ে দিয়েছিল ডারলো’কে। কিন্তু, পোস্টে রাখতে পারেননি ওবামেয়াং। সময়ের সঙ্গে আরও অগোছালো হয় আর্টেটার কৌশল। উল্টাপাল্টা শট আর উইংয়ের নিষ্প্রভতা ফাইনাল থার্ডে ভোগাতে থাকে গানারদের।

তবে, ওবামেয়াং ছিলেন সুযোগের অপেক্ষায়। ম্যাগপাইদের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে গোল করার রেকর্ডটা চারে নিয়ে যেতে আপ্রাণ চেষ্টা ছিল তার। প্রথমার্ধ্ব শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে, গোলটা প্রায় পেয়েও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, দুর্ভাগ্য আর্সেনালের। কারণ, পোস্টের নীচে অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন কার্ল ডারলো।

বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়ায় আর্সেনাল। ফল পেতেও দেরি হয়নি তাদের। ৪৭ মিনিটে ল্যাকাজেতের শটটা ডারলোর গ্লাভসে আটকে গেলেও; ৫০ মিনিটে বাঁচতে পারেনি নিউক্যাসেল ইউনাইটেড। প্রতি আক্রমণ থেকে দৃষ্টি জুড়ানো এক গোল করেন পিয়েরে অবামেয়াং। স্বস্তি ফিরে আসে গানার শিবিরে।

গোল খেয়ে আর প্রতিরোধ গড়া হয়নি ম্যাগপাইদের। ৬০ মিনিটে আরও একটা পালটা আক্রমণ গড়বড় করে দেয় ব্রুসের কৌশলকে। স্মিথের বাড়ানো বল থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বুকায়ো সাকা।

এরপর আর খেলায় ফেরা হয়নি অতিথিদের। ডিফেন্সের ভুলে উলটো ৭৭ মিনিটে আরও এক গোল খেয়ে বসেন তারা। জোড়া গোল পূরণ করেন ওবামেয়াং। হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়ে নিউক্যাসেল ইউনাইটেড।