আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আজ বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। গত ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তিনি রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায় ডেমোক্রেট দলীয় জো বাইডেন ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন ৩০৬টি এবং ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২ ভোট।
নির্বাচনে হেরে গেলেও ট্রাম্প ফলাফল মেনে নেননি। ট্রাম্প ভোট চুরির অভিযোগ এনে তার সমর্থকদের ওয়াশিংটন ডিসিতে আসার আহ্বান জানান। যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটেছে গত ৬ জানুয়ারি। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটাল হিল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়। ট্রাম্প সমর্থকরা ওই মনোনয়ন ঠেকাতে ক্যাপিটাল হিলে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
তাই আজ বাইডেনের অভিষেক অনুষ্টান কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ডিসিসহ প্রতিটি শহরেই নেয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তবে অনুষ্ঠানকে বর্ণিল করতেও আয়োজন কম করা হয়নি। ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল মলের পুরো চত্বর মুড়ে দেয়া হয়েছে এক লাখ ৯১ হাজার ৫০০ পতাকা দিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ও টেরিটরির নির্দেশক ৫৬টি পিলারে মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে বাইডেনের শপথ উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় কাজ করছে ২৫ হাজার সেনা সদস্য। সঙ্গে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও।
তবে এতো আয়োজন থাকলেও বাইডেনের শপথে ওয়াশিংটন ডিসি থাকবে জনমানবশূন্য। যদিও অভ্যন্তরীণ হুমকির কোনো ইঙ্গিত নেই বলছেন দেশটির অস্থায়ী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার।
সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই অস্থায়ী প্রধান সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, বাইডেনের অভিষেক ঘিরে সম্ভাব্য নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলের সুরক্ষায় সহায়তা করতে ২৫ হাজারেরও বেশি ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
মিলার জানান, ন্যাশনাল গার্ড সেনাদের প্রত্যেকের ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আর এই কাজে এফবিআই সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করছে।
বিবৃতিতে মিলার বলেছেন, ‘বড় ধরনের নিরাপত্তা ইভেন্টের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা স্বাভাবিক, যদিও আমাদের কাছে অভ্যন্তরীণ হুমকির কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই। তার পরও রাজধানীকে সুরক্ষিত করতে কোনো পাথরই উল্টে দেখতে বাকি রাখছি না আমরা।’