আরইবি চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ

বগুড়ায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিচ্ছেন না জিএম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২

132

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ বিদ্যুৎ সংক্রান্ত গ্রাহকদের অনিয়মের অভিযোগ আসলেও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার(জিএম) আব্দুল কুদ্দুস। গত ১৯জানুয়ারী মঙ্গলবার কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশ রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন বোর্ড(আরইবি) এর চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগে বলেছেন বগুড়া ধুনট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গ্রামের মৃত তারামিয়া আকন্দর ছেলে মোঃ মনজুরুল হক(৩২)। দ্রুত অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার দাবী করেছেন তিনি। অবৈধ সংযোগের কথা স্বীকার করেছেন সমিতির জিএম। অনেকেই অবৈধ সংযোগে সেচ মেশিন চালালেও কেউ ব্যবস্থা না নেয়ায় নিজেও চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার বিদ্যুৎ এর অবৈধ গ্রাহক তোফাজ্জল হোসেন।

সরেজমিনে জানাযায়, ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ী মৌজায় মনজুরুলের পানিসেচের জন্য অনুমোদিত (লাইসেন্স নং-২১৪/২০) একটি সেচ পাম্প রয়েছে। তার পানিসেচ এলাকার (কমান্ডিং এলাকা) বাহিরে একই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন সেচ পাম্পের অনুমতি নেন। কিন্তু তোফাজ্জল হোসেন অনুমোদিত স্থানের বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে অবৈধ ভাবে কমপক্ষে ২৬শত ফুট দূরে সেচপাম্প স্থাপন করেন মনজুরুলের সেচ পাম্পের কাছাকাছি। ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে অল্প উচ্চতায় বাঁশ এবং সিমেন্টের খুঁটি দিয়ে তার টেনে নেয়া হয়েছে। এতে মনজুরুল আর্থিক ভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অন্যদিকে নিচ দিয়ে বাঁশ এবং সিমেন্টে খুঁটি বিদ্যুৎ এর তার যাওয়ায় যে কোন সময় দূর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে।
মনজুরুল হক জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর বগুড়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার বরাবর সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। অনুলিপি দিয়েছিলেন বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডিজিএম এর কাছেও। এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া দুরে থাক। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতেও কেউ আসেন নি। তাই আরইবি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তোফাজ্জল হোসেন জানান, বিদ্যুৎ অফিসের সাথে যোগযোগ করেই বৈদ্যুতিক তার টেনে পানিসেচ দিয়ে আসছেন। তার মত অনেকেই এভাবে সংযোগ নিয়েছে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নেয়না। নিলে তিনি নিজেও করতে পারতেন না।
বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলাধীন বগুড়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) আব্দুল কুদ্দুস জানান, এরকম বহু অভিযোগ তার দপ্তরে জমা রয়েছে। অবৈধ ভাবে তার টেনে সেচমেশিন চালানোর লাইসেন্স বাতিল করতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।