সারিয়াকান্দিতে ১০৭ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার

199

পাভেল মিয়া,সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ “আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ১০৭ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। চারদিকে ইটের দেয়াল এবং মাথার ওপরে দেওয়া হচ্ছে সবুজ রঙের টিনের ছাউনি। শুধু ঘরই নয়, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ডোমকান্দি এলাকায় ২৭ টি, হাটশেরপুর শাহানবান্দা এলাকায় ৪০ টি, চালুয়াবাড়ী বিরামের পাচগাছি এলাকায় ৪টি, কাজলা শাহ জালাল বাজার ২৮টি, কুতুবপুর ইউনিয়নের বড়ইকান্দি ও মাছিরপাড়া এলাকায় ৮টি। প্রতিটি ঘরের খরচ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার ১০৭ টি ঘর নির্মাণের কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই কার্যক্রমকে সফল করতে স্থানীয় প্রশাসন দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
সারিয়াকান্দি হিন্দুকান্দি গ্রামের জাহেরা বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ বাঙ্গালী নদীর ধারে থাকতাম, বৃষ্টি এলে খুউব কষ্ট হয় ছেলে-মেয়েকে নিয়ে। তারপরেও কষ্ট করে সেখানে থাকতাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হামাগিরেক পাকা ঘর দিছে, এতে করে হামারগিরে কষ্ট ঘুচবে। হামরা খুশি। এজন্য শেখ মুজিবুরের বেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।’
অপর উপকারভোগী দিলবাসি বেগম বলেন, হামি মানুষের বাড়ি বাড়ি থাকতাম , বাড়ি-ঘর এমনকি নিজের বলতে কিচ্ছু নেই, খুব কষ্ট করে মানুষের জায়গায় থাকি। শেখ হাসিনা হামাক ঘর দিছে, হামি খুব খুশি।
তার মতো আরেক পরিবারের সবুজ বলেন, আমি ভুমিহীন মানুষ, পরের জায়গায় ভাঙাচোরা বাড়ি-ঘর আছে, সেখানে কোনোরকমে ছেলে-মেয়ে নিয়ে কষ্ট করে থাকি। এখন এই যে সুন্দর বাড়ি ঘর দিচ্ছে এটা পেলে আমাদের খুব উপকার হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে যে সুযোগ সুবিধা দিছে এর চেয়ে আমাদের আর কী চাওয়া পাওয়ার আছে?
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সারওয়ার আলম বলেন, দুই রুম বিশিষ্ট বাড়িতে রয়েছে একটি রান্না ঘর ও টয়লেট, সামনে খোলা বারান্দা। আমরা এ কাজে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে সর্বোচ্চ সর্তককতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বপালনের চেষ্টা করেছি। আগামী ২৩ জানুয়ারী ভূমিহীন ও গৃহহীন বুঝে নিবে স্বপ্নের ঠিকানা।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন মুজিববর্ষে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। উপজেলায় ১০৭ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন ওই ঘর। সেই ঘর নির্মাণের কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি করে একটি মানসম্পন্ন ঘর যেন গৃহহীনরা পায় সে লক্ষ্যে প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২৩ জানুয়ারি শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে সারা দেশের ন্যায় বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব বাড়ি হস্তান্তর করবেন।