‘ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু ২৭ জানুয়ারি, প্রথম পাবেন কুর্মিটোলার নার্স’

144

অনলাইন ডেস্ক

দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে আগামী ২৭ জানুয়ারি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যুক্ত হয়ে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটে গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান।

স্বাস্থ্য সচিব বলে, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্স দেশে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ভ্যাকসিন পাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সংযুক্ত হয়ে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

সচিব আব্দুল মান্নান বলেন, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার তিন কোটি ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি করেছি আমরা। এরই মধ্যে ভারত আমাদের ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছে। এর মধ্যে আমাদের কেনা আরও ৫০ লাখ ভ্যাকসিন দেশে চলে আসবে। ২৭ জানুয়ারি থেকে আমরা কার্যক্রম শুরু করব।

এর আগে, জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

ভারত থেকে তিন কোটি ভ্যাকসিন কিনতে গত নভেম্বরে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। ভারতের সিরামের সঙ্গে ওই চুক্তির দেশীয় দুই অংশীদার হলো বাংলাদেশ সরকার ও বেসরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এরই মধ্যে এই ভ্যাকসিন কিনতে ৫০৯ কোটি টাকা সিরামকে পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার।

চুক্তি অনুযায়ী, সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন দেশে আমদানি করবে বেক্সিমকো ফার্মা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর জানিয়েছে, বেক্সিমকো এই ভ্যাকসিন দেশে আনার পর তাদের নিজেদের ওয়্যারহাউজে সংরক্ষণ করবে। এরপর দেশের নির্ধারিত জেলা ইপিআই কোল্ড স্টোরেজগুলোতে সেগুলো নিজ দায়িত্বেই পৌঁছে দেবে বেক্সিমকো। পরে সেসব ইপিআই কোল্ড স্টোরেজ থেকে ভ্যাকসিন সরকারি ব্যবস্থাপনায় পৌঁছে যাবে ভ্যাকসিনেশন সেন্টারগুলোতে।

বাংলাদেশের কেনা ভ্যাকসিন এখনো দেশে না এলেও ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছে ভারত। তেজগাঁওয়ে জেলা ইপিআই স্টোরে এসব ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা আছে।