শেরপুরে মুজিববর্ষের অঙ্গীকার আশ্রয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন

132

মোঃ জাকির হোসেন
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

“দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” মর্মে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের আওতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে জমিসহ পাকা বাড়ি পাচ্ছেন দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো। সেই অনুযায়ী আজ ২৩ জানুয়ারি সকাল ১১.১০ টায় শেরপুর উপজেলা অডিটরিয়ামে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনাড়ম্বর পরিবেশে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময়, সুবিধাভোগীদের হাতে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিগণ।

মহান বিজয়ের ৫০ বছর পূর্ণ করেছে স্বাধীন বাংলাদেশ। pদরিদ্র কবলিত তৎকালীন বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাঁড় করানোর প্রত্যয় গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে এদেশের আপামর মেহনতী মানুষ। কেননা, তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন এ জাতির সচ্ছলতার। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া অসমাপ্ত পরিকল্পনা এবং স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। তারই ধারাবাহিকতায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এদেশের গৃহহীন এবং ভূমিহীন মানুষদের মাথা মজার ঠাঁই করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। অঙ্গীকার করেছিলেন , ভূমিহীন থেকে নাম মুছে দেয়ার। আজ সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন হলো তার ঘোষণার মাধ্যমে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে ২৩ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ শনিবার সকাল ১১.১০ টায় ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে উপকারভোগী পরিবারের নিকট গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এসময় শেরপুর উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো.আব্দুল মালেক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী শেখ, দৈনিক দৃষ্টি প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদকের প্রতিনিধি হিসেবে দৈনিক দৃষ্টি প্রতিদিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এবং দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার শেরপুর উপজেলা প্রতিনিধি জিয়াউদ্দিন লিটন, সাপ্তাহিক আজকের শেরপুর পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুল বারী ডাবলু, সাপ্তাহিক তথ্য মালা পত্রিকার সম্পাদক সুজিত কুমার বসাক , বিজয় বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আকরাম হোসাইন, ভাইস চেয়ারম্যান মো.শাহজামাল সিরাজী, নাসরিন আক্তার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব আম্বিয়া, শেরপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, বগুড়া এডভোকেটস্ বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামছুন্নাহার শিউলি, সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা শারমিন, প্রকল্পে নিয়োজিত টাস্কফোর্সের কর্মকর্তাবৃন্দ, পি আই এস এর সকল সদস্যবৃন্দ, উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাবৃন্দ, শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, অন্যান্য পেশাজীবীর ব্যক্তিগণ, গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত প্রকল্পের সুবিধা ভোগী ব্যক্তিবর্গ ।

“মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না”- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িতব্য কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে নির্মিত ভূমিহীন প্রত্যেককে ২শতাংশ করে খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান প্রদানপূর্বক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সমগ্র দেশে নির্মাণ করা হচ্ছে ৬৬১৮৯টি দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি। তারমধ্যে রাজশাহী বিভাগে ৬৭৭০ টি , বগুড়া জেলায় ১৪৫২টি এবং শেরপুর উপজেলায় ১৬৩টি গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটা ঘরের নির্মাণ কাজের ব্যয় নির্ধারণ করা আছে ১ লক্ষ৭১ হাজার টাকা। ১৬৩টি ঘরের জন্য শেরপুর উপজেলায় সর্বমোট ব্যায় ২ কোটি ৭৮ লক্ষ্য ৭৩ হাজার টাকা। ২০ ফুট বাই ২২ ফুট প্রস্থের জমির উপর রয়েছে দুটি সেমি-পাকা কক্ষ, রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেট, ইউটিলিটি স্পেস, সামনে খোলা বারান্দা। ঘর এবং আশেপাশের জায়গা দিয়ে একটি পরিবার বেশ সুন্দর ভাবে বসবাস করতে পারবে।

এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন জানান, জেলা প্রশাসকের সার্বিক দিকনির্দেশনায় প্রত্যেক সুবিধাভোগীর নামে ২ শতাংশ সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক কবুলিয়ত দলিল রেজিস্ট্রেশন, নামজারি সম্পন্নকরণ ও গৃহ প্রদানের সনদ প্রদানসহ সকল কাজ সম্পন্ন। উদ্বোধণ শেষে দ্রুত তালিকা অনুযায়ী উপকারভোগীদের মাঝে জমিসহ নির্মানকৃত ঘর গুলো বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
আজ, সবার কণ্ঠেই অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়।