মাশুল গুনতে হচ্ছে জনগনকে

শাজাহানপুরে অবৈধ ইট ভাটা চললেও ব্যবস্থা শুধু মাটি উত্তোলনে

166

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ ইট ভাটার লাইসেন্স, পরিবেশের ছারপত্র, জেলা প্রশাসকের অনুমোদন না থাকলেও বগুড়া শাজাহানপুরে অবৈধ ভাবে চলছে অর্ধশতাধিক ইট ভাটা। ইট ভাটা গুলোর পার্শ্বেই রয়েছে হাজারো মানুষের বসতি। রয়েছে দুরুলিয়া ২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়. খলিশাকান্দি ২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘাষিড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা, দুবলাগাড়ি ডিগ্রি কলেজ, মহিলা কলেজ সহ দুবলাগাড়ি হাট। ইট ভাটা গুলো থেকে অতিরিক্ত ইট বোঝাই করা ট্রাক দিন রাত ছুটে চলছে দুবলাগাড়ি ঝুঁকিপূর্ন ব্রিজের উপর দিয়ে। ইট ভাটার প্রয়োজনে তৈরী হয়েছে অর্ধশতাধিক মাটির পয়েন্ট। অবৈধ ইট ভাটা উচ্ছেদ না করে মাটি উত্তোলনে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানকে আই ওয়াশ বলছেন স্থানীয় এলাকাবাসি। অপরদিকে মাটির পয়েন্ট গুলোতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে সাধারণ মানুষের নির্মান ব্যায় বেড়েছে অনেক। যার বিরুপ প্রভাব পড়ছে সরকারের উপরে।

গতকাল রোববার সকাল সারে ১০টায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক বৈঠকে সাংবাদিকরা অবৈধ ইট ভাটা উচ্ছেদের দাবী জানিয়েছেন। ইট ভাটা বন্ধ না হলে ইট ভাটার এবং দেশের জনগনের উন্নয়নে মাটি বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার দাবী জানানো হয়েছে।
আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠকে সাংবাদিকদের পক্ষে বক্তব্য দেয়া শাজাহানপুর সাংবাদিক ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক সাজেদুর রহমান সবুজ বলেন, কোন ধরণের অনুমতি ছাড়াই উপজেলায় অর্ধ শতাধিক ইট ভাটা অবৈধ ভাবে চালু রয়েছে। কিন্তু সেগুলো বন্ধে প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ নেই। অন্যদিকে প্রশাসন ইট ভাটার প্রয়োজনে মাটির পয়েন্ট গুলোতে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে জেল জরিমানা করছেন। এতে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ জনগন। সরকারের উপরে যার বিরুপ প্রভাব পড়ছে। অবৈধ ইট ভাটা বন্ধ না হলে মাটির পয়েন্ট গুলোতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান কোন কাজে আসবেনা। এখানে আইন প্রয়োগে সঠিক নীতি অবলম্বন করা হচ্ছেনা।
ইট ভাটা এবং মাটি ব্যবসায়ী শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জানান, ইট ভাটা বন্ধ হলে তার বিকল্প ব্যবহার কি হবে প্রশাসনকে আগে তা নির্ধারণ করতে হবে। ইট ভাটা বন্ধ না হলে ইট ভাটায় ব্যবহার করা মাটি উত্তোলন বন্ধ করা কতটা যৌক্তিক তা বোধগম্য নয়। মাটি উত্তোলনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে দাম বেড়েছে ইট মাটি বালুর। গত বছরের চেয়ে বর্তমানে প্রতি হাজার ইট কমপক্ষে ১হাজার টাকায় বেশি কিনতে হচ্ছে জনগনকে। মাটি প্রতি ট্রাকে অন্তত ৩শত টাকা এবং বালু প্রতি ট্রাকে ১হাজার টাকা থেকে ১৫শত টাকা পর্যন্ত।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আশিক খানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেস্টা করা হলে ফোন রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।