ইসলামাবাদ রণক্ষেত্র

114

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পুলিশের সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের সংঘর্ষে বুধবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন এসব কর্মীরা। এক পর্যায়ে তারা সংরক্ষিত রেড জোনে প্রবেশের চেষ্টা করেন। ইসলামাবাদ পুলিশ মূল শহরে প্রবেশের অন্যতম পথ শ্রীনগর মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়। এক্ষেত্রে তারা রাস্তা অবরোধ করতে ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম কন্টেইনার। দিনশেষে কাজের পরে কর্মীরা যখন বাসায় ফেরার চেষ্টা করেন তখন ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে শত শত সরকারি কর্মচারী পার্লামেন্ট হাউজের সামনে অবস্থান ধর্মঘটের জন্য প্রস্তুতি নিলে তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এ সময় বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী নেতাদের কয়েকজন সহ বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। এতে বলা হয়, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষকালে বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষের মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের একটি গ্রুপ তথ্যমন্ত্রী সিনেটর শিবলি ফারাজের গাড়ি আলাদা করে ফেলে। এ সময় তা তথ্যমন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করছিল। তার গাড়িকে আটকে বিক্ষোভকারীরা গ্রেপ্তার করা সবার মুক্তি দাবি করে। এর আগে ফেডারেল ডিরেক্টরেট অব এডুকেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা শ্রীনগর হাইওয়ে ব্লক করে দেয়। এর ফলে ওই মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী সব যানবাহনের ভয়াবহ এক জটলা সৃষ্টি হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে পুরো শহরে। এর ফলে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, ডিপার্টমেন্ট ও বিভাগে অচলাবস্থা দেখা দেয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে ঘটনা তদন্তে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাত্তাককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরে খাত্তাক বলেছেন, কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করছে কমিটি। তাদের বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবি মেনে নিতে সম্মত হয়েছে কমিটি। তিনি আরো বলেন, আগামী বাজেট থেকে এসব কর্মীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে রিলিফের জন্য প্রস্তুত সরকার। মন্ত্রী আরো বলেন, এর আগে কর্মীলা গ্রেড এক থেকে ১৬ পর্যন্ত কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু এদিন তারা সব গ্রেডের বেতন বৃদ্ধির দাবি করে।