অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে ধর্ষণ, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা

124

মানবজমিন ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ভিতরে লিবারেল সাবেক স্টাফার ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ব্রিটানি হিগিনসকে (২৬) ধর্ষণ করা হয়েছে। বিট্রানি হিগিনসের দাবি, ২০১৯ সালে পার্লামেন্টে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টসহ দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। এ অভিযোগ যেভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে সে জন্য ব্রিটানি হিগিনসের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। কিন্তু জবাবে বিট্রানি হিগিনস এ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অনলাইন নিউজ এবং বিবিসি। এতে বলা হয়, ধর্ষিত হওয়ার পর চাকরি হারানোর ভয়ে ঘটনার সময় কোনো কথা বলেননি ব্রিটানি। এ নিয়ে তিনি যখন সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন তখন বস পর্যায়ের কারো কাছ থেকে তেমন কোনো সমর্থন পাননি।

সোমবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ব্রিটানি এ নিয়ে অভিযোগ প্রকাশ করেছেন। এর ফলে চারদিক হতাশা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, ব্রিটানি হিগিনসের অভিযোগে তার হৃদয় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। তিনি পার্লামেন্টের পরিবেশ এবং সংস্কৃতি পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের বলেন, আমি আশা করি ব্রিটানির ঘটনায় আমাদের সবাইকে জেগে উঠার আহ্বান রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে তিনি কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন। কারণ, তিনি ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর বলেছিলেন, তিনি দুটি কন্যা সন্তানের জনক। তাই এমন অভিযোগের বিষয় তিনি ভালভাবে বুঝতে পারেন।