সোনাতলায় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের কর্মসূচি শুরু

218

নুরে আলম সিদ্দিকী সবুজ স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলায় রোববার রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এসময় উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ প্রশাসন, দলীয় অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর‌্যায়ের নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদদের স্মরনে ১মিনিট নিরবতা পালন, ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাতৃভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছর পূর্ণ হল এইদিনে।

বাঙালি জাতির জন্য এই দিবসটি হচ্ছে চরম শোক ও বেদনার। অনদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। যে কোন জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে মৃত্যুর উত্তরাধিকার, মরতে জানা ও মরতে পারার উত্তরাধিকার। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন।
১৯৫২ সালের এইদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। শহীদরা তাদের জীবন দিয়ে আমাদের জীবন রক্ষা করে আমাদের জীবনে অমৃতরসের স্পর্শ দিয়ে গেছেন। তাদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে আমরা অমরতা পেয়েছি।
মাতৃভাষার দাবি ন্যায়ের দাবি, সত্যের দাবি, এ দাবির লড়াইয়ে একুশে ফেব্রুয়ারির শহীদরা প্রাণ দিয়ে প্রমাণ করেছেন, ন্যায় ও সত্যের ব্যাপারে কোন আপোষ চলে না, চলে না কোন গোঁজামিল। জীবন-মৃত্যুর ভ্রকুটি উপেক্ষা করেই হতে হয় তার সম্মুখীন। একুশে ফেব্রুয়ারির দিন দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সঠিক নিয়মে, সঠিক রং ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করে রাখা হবে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে জাতীয় অনুষ্ঠানের সাথে সঙ্গতি রেখে বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হবে।