ফিফা জানতে চায় বাফুফেতে এত ভোটার কেন

145

অনলাইন ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা তার সদস্য দেশগুলোর নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যেসব দেশে ভোট এলেই সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েন তারা কেন ফুটবল নির্বাচনের সময়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। অর্থ খরচ করেন। ভোটার হওয়ার জন্য কেনই বা তারা কাড়িকাড়ি অর্থ ঢেলে দেন। তারা কি ফুটবল উন্নয়নে অর্থ খরচ করেন না-কি ভোট এলেই সরব হয়ে উঠেন।

বাফুফের কাউন্সিলর ১৪৭। এর মধ্যে ভোট দেওয়ার অধিকার আছে ১৩৯ জনের। এর মধ্যে পাঁচটি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলর। যাদের ভোট দেওয়ার অধিকার আছে। বাকি আটটি নন-ভোটিং।

ফিফার কাছে সব প্রশ্নের জবাব জানা আছে। তার পরও সদস্য দেশগুলোর প্রতি কড়া বার্তা পাঠাচ্ছে ফিফা। ফিফার এমন সোচ্চার কথা কাল দুপুরে জেলা ফুটবল লিগ কমিটির সভা শেষে কাজী সালাহউদ্দিন নিজেই বলেছেন।

বাফুফের সভাপতি সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ফিফা জানতে চায় এত ভোটার কেন। এত কমিটি কেন।’ সালাউদ্দিন বলেন, ‘ফিফা প্রশ্ন করেছে বাফুফের কাউন্সিলরদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষাবোর্ডের কাউন্সিলরশিপ কেন? তারা কি কারণে নির্বাচন এলে বাফুফের ভোটার হয়ে যান।’ ফিফার নির্দেশনার কথা জানিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘ফিফা বলেছে, যারা ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, তাদের কাউন্সিলর হিসেবে না রাখতে। যেসব জেলা লিগ আয়োজন করবে না, তাদেরও কাউন্সিলর না রাখার পরামর্শ দিয়েছে ফিফা। তারা বলেছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন কোন মেম্বার অ্যাসোসিয়েশন ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের তালিকা বের করে জমা দিতে এবং শুধু তারাই থাকবে বাফুফের কাউন্সিলর। সুতরাং ডিএফএ তথা জেলাগুলো ফুটবল লিগ আয়োজন না করলে অটোমেটিক তাদের কাউন্সিলরশিপ বাতিল হয়ে যাবে।’

বাফুফেতে ২১টি কমিটি। এই কমিটির কাজ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সালাহউদ্দিন এটাও বলেছেন, ‘ফিফা এশিয়ার সব দেশকেই এমন বার্তা দিয়েছে। শুধু যে বাংলাদেশকে বলেছে তা নয়।’ বাফুফের স্ট্যান্ডিং কমিটির সংখ্যা কমিয়ে আনা হতে পারে। সেই সঙ্গে কমিটির সদস্য সংখ্যাও কমিয়ে আনা হতে পারে।