সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টকারীরা বিএনপির সহযোগী:কাদের

136

অনলাইন ডেস্ক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যারা নষ্ট করে তারা বিএনপির সহযোগী। সুনামগঞ্জের ঘটনায় সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও তার দোসরদের যোগসাজশ রয়েছে বলে জনগণ মনে করেন।

আজ সকালে সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা সরকার সকল ধর্মের অনুসারীদের সহাবস্থান এবং নিরাপত্তা বিধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ বলেন: একটি অশুভ মহল বরাবরের মতো দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করছে। তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে ব্যর্থতা ঢাকতে নানা অপকৌশল আর ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকার ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জের ঘটনায় তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। শেখ হাসিনা অপরাধকে অপরাধ হিসেবেই দেখে। অতীতের ধারাবাহিকতায় এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদেরও শাস্তি পেতে হবে। সুনামগঞ্জের ঘটনায় মামলা হয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

এ দুঃখজনক ঘটনায় নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশের পাশাপাশি ধৈর্য ধারণেরও আহবান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন: এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধের সাথে জড়িতদের শাস্তি পেতেই হবে। সুনামগঞ্জের ঘটনায় সরকার যখন দল-মত নির্বিশেষে অভিযুক্তদের শাস্তির কথা বলছে তখন বিএনপি নেতারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে আওয়ামী লীগের উপর দোষ চাপিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে চাইছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে তোষণপোষণ করাই বিএনপির রাজনীতি।

বিভিন্ন পরাশ্রয়ী আন্দোলনে ভর করে সরকার পতনের অলীক স্বপ্ন ভেস্তে গেছে বিএনপির উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন: এর আগেও তারা ধর্মীয় অনুভূতিতে উস্কানি দিয়ে ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলনও হালে পানি পায় নি। তথাকথিত আন্দোলনে বিন্দুমাত্র সাড়া না পেয়ে অতীতের মতো সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ভোঁতা অস্ত্র কাজে লাগানোর অপচেষ্টা করছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতন বেড়ে যায়, বিএনপি নেতাদের এমন কাল্পনিক অভিযোগ ও মিথ্যাচার চৈত্রের দাবদাহে আষাঢ়ে গল্প ছাড়া আর কিছু নয়। এদেশের সনাতন ধর্মের অনুসারীদের আত্মার আত্মীয় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। মাইনরিটি বান্ধব শেখ হাসিনা সরকার সবসময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছে।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

২৬ মার্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন। এরপর ৮টা ৩০ মিনিটে ঐতিহাসিক ধানমন্ডির ৩২নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।

২৮ মার্চ সকাল ১১ টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আলোচনা সভা। সেখানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।