বগুড়ায় প্রদর্শিত হলো সাড়ে ১৩ হাজার বর্গফুটের দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় পতাকা

312

স্টাফ রিপোর্টার

বগুড়া জিলা স্কুল মাঠে ১৩ হাজার ৫০০ বর্গফুটের বিশাল জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করা হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টায় এই বিশাল পতাকা প্রদর্শন করা হয় বগুড়া জিলা স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে।

স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত দেশে এটি কাপড়ের তৈরি সর্ববৃহৎ জাতীয় পতাকা বলে দাবি করেছেন আয়োজকেরা।

বগুড়া জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক। বগুড়া জিলা স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহ- সভাপতি রেজাউল বারী ঈশার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আরশাদ সায়ীদ, মাসুদার রহমান হেলাল ও আকতারুজ্জামান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মজিবর রহমান মজনু ও সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু, বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মুস্তাফীসহ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্য এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী রাকিব জুয়েল এবং কনক পাল।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা কর্নারের উদ্বোধন করা হয়।পরে অনুষ্ঠানিকভাবে কাপড়ের তৈরি বৃহৎ জাতীয় পতাকার উদ্বোধন করা হয়। এতে অংশ নেন জিলা স্কুলের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী।

আয়োজকেরা জানান, প্রাক্তন শিক্ষার্থীর তত্ত্বাবধানে জিলা স্কুল মাঠে ৬ মার্চ থেকে বিশাল এই পতাকা তৈরির কাজ চলে। দর্জি রানা মিয়ার নেতৃত্বে ছয়জন দর্জি পতাকা বানানোর কাজ করেছেন। পতাকার দৈর্ঘ্য চ ১৫০ ফুট এবং প্রস্থ ৯০ ফুট। এতে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও সোয়া তিন ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট ৪৭ থান সবুজ রঙের কাপড় এবং ১৭ থান লাল রঙের কাপড় ব্যবহৃত হয়েছে।

জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ সায়ীদ জানান , আমাদের জানা মতে এখন পর্যন্ত এটি সর্ববৃহৎ জাতীয় পতাকা। পতাকা প্রদর্শনের পর আমরা ডকুমেন্টসহ কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। তারপর স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।