বগুড়া জেলার ২০০তম জন্মদিবস ১৩ই এপ্রিল মঙ্গলবার

217

স্টাফ রিপোর্টার

বগুড়া জেলা গঠনের ২০০বছর পূর্তি দাবি করে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘বগুড়া ইতিহাস চর্চা পরিষদ’। সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়া শহরের শেরপুর রোডের সূত্রাপুর এলাকায় ‘রোচাস’ নামের একটি স্থানীয় হোটেলের কনফারেন্স রুমে এ সংবাদ সম্মেলন করা। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি ও ‘বগুড়া জেলা গঠনের দুইশত বছর উদযাপন কমিটি’র আহ্বায়ক ডা. সি এম ইদরিস।

বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘১৮২১ সালের ১৩ এপ্রিল বগুড়া জেলা গঠনের আদেশ জারী হয়। রাজশাহী জেলা থেকে কেটে বগুড়া জেলার সৃষ্টি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বগুড়ার ইতিহাস শুধু ২০০ বছরের ইতিহাস নয়। জেলার মাটির সঙ্গে মিশে আছে হাজার বছরের ইতিহাস। খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ শতকে বগুড়া ছিল মোর্য শাসনাধীনে। মৌর্য শাসনের পর এ অঞ্চলে আসে গুপ্তযুগ। এরপর অএক এক করে আসে শশাংক, হর্ষবর্ধন, যশোবর্ধন পাল, মদন ও সেনরাজ বংশ। মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেনসহ আরো অনেক রাজাদের প্রশাসনিক কেন্দ্র (রাজধানী) ছিল বগুড়ার প্রাচীন জনপদ পুন্ড্রনগর। বর্তমানে এই পুন্ড্রনগর বগুড়ার মহাস্থানগড়, যার ধ্বংসাবশেষ আজও কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

ডা. সি এম ইদরিস বলেন, ‘জেলার ২০০ বছর পূতি উপলক্ষে ‘বগুড়া ইতিহাস চর্চা পরিষদ’ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তাদের কর্মসূচিরগুলোর মধ্যে রয়েছে, ১৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) বেলা ১১টার দিকে বগুড়া জিলা স্কুল মাঠে ফেস্টুন ও বেলুন উড়ানো, প্রকাশিত স্মরণিকা ‘বগুড়া কথা’ এর মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা ডা. মশিহুর রহমান, আনোয়ার কবীর দুলাল, সহ-সভাপতি মতিউল ইসলাম সাদী, অ্যাডভোকেট শেহের আলী, রেজওয়ান হাসান রনি, রাজীউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফজলে রাব্বী ডলার, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দা তাহমিনা পারভীন শ্যামলী।।