বগুড়ায় ফেনসিডিল বিক্রির ঘটনায় ৮ পুলিশ সদস্যকে বদলি

231

স্টাফ রিপোর্টার

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একসঙ্গে ৮ পুলিশ সদস্যকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এ আটজনই বগুড়া জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে বদলি হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফয়সাল মাহমুদ। এর আগে সোমবার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বদলির আদেশ পৌঁছায়। জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা এ আদেশ দেন।

আদেশ সূত্রে জানা গেছে, মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমানকে সোনাতলা, এএসআই মিজানকে সারিয়াকান্দি থানায় বদলি করা হয়েছে। আর কনস্টেবল মিজানুর রহমানকে দুপচাঁচিয়া, কিবরিয়াকে সারিয়াকান্দি, অরুপকে ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ি, মিলন রহমানকে আদমদীঘি, সজিব রহমানেকে গাবতলী থানার বাগবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ও মোজাফ্ফর আলীকে গাবতলী মডেল থানায় বদলি করা হয়েছে।

এর আগে শিবগঞ্জ সার্কেল অফিসের কনস্টেবল আলাউদ্দিনকে নন্দীগ্রাম থানার কুমিড়া পুলিশ ফাঁড়িতে বদলি করা হয়।

গত ২১ এপ্রিল ফেনসিডিল বিক্রির অভিযোগ ওঠার পর তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়। প্রত্যাহার করা কর্মকর্তারা হলেন, শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী, মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শাহীনউজ্জামান এবং এসআই সুজাউদ্দৌলা।

ওই সময় বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, উদ্ধারকৃত ফেনসিডিল বিক্রির ঘটনায় অভিযোগ ওঠার পর শাহীনউজ্জামানকে ওআর হেডকোয়ার্টার হিসেবে ও সুজাউদ্দৌলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই ঘটনায় আরিফুলকে বরিশাল রেঞ্জে বদলি করা হয়।

আরও আটজনের বদলি বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘একসঙ্গে ৮জনকে বদলি করার কোনো বিশেষ কারণ নেই। ফেনসিডিল কেলেঙ্কারি সঙ্গে এই ৮জনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল যানবাহন তল্লাশিকালে ঢাকাগামী বাস খালেক পরিবহন থেকে নাজিম নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ বোতল এবং পিংকি পরিবহন নামের বাস থেকে সাইফুল ইসলাম নামের একজনকে ১৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়।

এ ঘটনায় মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজাউদ্দৌলা বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন।

পিংকি পরিবহন থেকে উদ্ধার করা ১৯৮ বোতল ফেনসিডিলের স্থলে ১১০ বোতল জব্দ দেখিয়ে সাইফুলের নামে মামলা দেয়া হয়। বাকি ৮৮ বোতল ফেনসিডিল পুলিশের এক কর্মকর্তা সোর্সের মাধ্যমে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ উঠে। এমন অভিযোগের পর গত ২১ এপ্রিল তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়।।