শাজাহানপুরে অপরাধ স্বীকার করলেও থানা থেকে ছাড় পেলো কিশোর গ্যাংয়ের ৫সদস্য

306

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ কিশোর গ্যাংওেয়র ৫জন থানায় হাজির হয়ে মারামারির দায় স্বীকার করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন বগুড়া শাজাহানপুর থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় মারামারির ঘটনার বাদী উপজেলার সাহনগর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে মাসুদ রানা নিজেও থানায় উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বাদী। গত ৪মে সারে ৯টার দিকে তুচ্ছ ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের প্রায় ১০জন সদস্যর ছুরিকাঘাতে এবং মারপিটে ৩জন আহত হয়। সেই ঘটনায় পরদিন থানায় অভিযোগ হয়। থানায় হাজির হওয়া কিশোর গ্যাংয়ের ৫সদস্যর মধ্যে ছিলো সাহনগর গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে সুমন(১৭), বিহিগ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে রকি(১৮), চুপিনগর গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে ছাব্বির(১৭), সাহনগর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে ছাব্বির(১৮), চকচোপিনগর গ্রামের ফারুখের ছেলে রাব্বি(১৭)। আহতদের মধ্যে রয়েছে আজিজার রহমানের ছেলে সজিব(২০), ওহাবের ছেলে মুজাহিদ(১৮), এবং তোতা মিয়ার ছেলে রায়হান(১৮)। এদের মধ্যে রায়হানের অবস্থা খারাপ। সে এখনো বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। বাদী মাসুদ রানা জানান, মোবাইলে ফ্রি-ফায়ার গেমস খেলা নিয়ে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এর জের ধরে রকি, রাব্বি সহ অন্তত ১০জন মিলে রায়হান সহ ৩জনকে ছুরিকাঘাত এবং মেরে আহত করে। এই ঘটনায় পরদিন ৫মে তিনি নিজে বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দেন। গতকাল শনিবার রাব্বি, রকি সহ ৫জন বিকেল ৫টার দিকে থানায় এসে অভিযোগ তাদের দোষ স্বীকার করে। এসময় থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি আমলে না নিয়ে ওই ৫জনকে চলে যেতে বলেন। এবং তাকেও ধমক দিয়ে থানা থেকে বের করে দেন। এই ঘটনায় জড়িও ওই ৫ কিশোর জানান, মারামারির ঘটনায় তারা জড়িত ছিলেন। তাদের হাতে অপর ৩জন আহত হয়েছিলো। তারা নিজেরা থানায় হাজির হয়ে দোষ স্বীকার করে। থানার ওসি তাদের কাছ থেকে সব শুনে বাড়িতে যেতে বলেছে। তাই তারা চলে আসে। এর আগে গত ৭মে ব্গুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন যুবলীগ নেতা ঝন্টুর স্ত্রী লিমা বেগম। সেখানে তিনি শাজাহানপুর থানা এবং কৈগাড়ি ফাঁড়ির কতিপয় পুলিশ ব্যাগে দেশীয় ধারালো অস্ত্র অস্ত্র নিয়ে ঝন্টুর বাড়িতে রেখে ফাঁসানোর জন্য আসেন। পরে স্থানীয় লোকজনের প্রতিরোধের মুখে পুলিশ ফিরে যান। তার আগে আদালতের আদেশ থাকার পরেও শাজাহানপুর থানায় প্রতিকার পাননি একেএম আব্দুল মতিন আকতার। পরে পুলিশ সুপারের কাছে থানার পরিদর্শকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন তিনি। শাজাহানপুর থানায় মারামারির ঘটনায় তদন্ত অফিসার এসআই আব্দুর রাজ্জাক মোবাইল ফোনে জানান, বিষয়টি তার জানানেই। এসময় তিনি বাহিরে ছিলেন।