সোনাতলায় মার্কেট গুলোতে উপচে পড়া ভিড়,নেই কোন স্বাস্হ্যবিধি মানার বালাই

219

নুরে আলম সিদ্দিকী সবুজ স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া সোনাতলায় মার্কেট গুলোতে উপচে পড়া ভিড়।

দুই সপ্তাহের লকডাউন শেষে দোকানপাট খুলতেই ভিড় জমেছে মার্কেট গুলোতে। একদিকে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি মানায় আগ্রহ কমছে।

দোকানপাট খুলতেই সোনাতলা উপজেলায় দোকান গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। লকডাউন চলমান থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি, মোটরসাইকেল, আটো ভ্যান চলাচলে বিভিন্ন মোড়ে দেখা গেছে যানজট।
ঈদের বেচাকেনায় ক্রেতা-বিক্রেতার খুশিতে অবেহলায় স্বাস্থ্যবিধি।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ‘লকডাউনে’ দোকান ও বিপণিবিতান বন্ধের সিদ্ধান্ত ছিল। আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ থাকলেও গত রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল সরকার। কিন্তু এরপর আবার দোকান খোলা রাখার সময় বাড়িয়ে রাত ৯টা করা হয়। মার্কেট খুলতেই ঈদের কেনাকাটা শুরু করেছেন ক্রেতারা। এই কেনাকাটার ভিড়ে উধাও স্বাস্থ্যবিধি। মুখে মাস্ক নেই ক্রেতা-বিক্রেতা কারোরই। গাদাগাদি করে মার্কেটগুলোতে দরদাম করছে মানুষ। ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ, মৃত্যুহারে দেশের করোনা পরিস্থিতির নাজুক হলেও তা যেন নাড়া দিচ্ছে না সাধারণ মানুষকে। ভিড় ঠেলে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে বিভিন্ন দোকানে ছুটছেন ক্রেতারা। গাদাগাদি করে কার আগে কে কিনবেন পছন্দের পোশাক বা প্রয়োজনীয় সামগ্রী, চলছে তারই প্রতিযোগিতা।

সোনাতলার বিভিন্ন দোকান গুলোতে দেখা গেছে মানুষের ভিড় বাড়ছে। দুপুরের দিকে এ ভিড় আরও বাড়তে থাকে।কিছু দিন মার্কেট গুলো বন্ধ থাকায় এলাকাবাসী কেনাকাটা করতে পারেনি। সে কারণে মার্কেট খুলতেই ভিড় করেছেন।

মার্কেটের দোকানি সুজন ইসলাম বলেন, সরকারের নির্দেশনায় এতদিন মার্কেট বন্ধ ছিল। দোকান ভাড়া, কর্মচারীর বেতন, মালামাল পাইকারি কেনা সব মিলিয়ে আমরাই অসহায় অবস্থায় ছিলাম। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে খোলা হয়েছে। সামনে ঈদ, মানুষ কেনাকাটা করতে আসছে। যথেষ্ট চাপ রয়েছে। বিক্রিও যথেষ্ট ভালো।

কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে। আমরা পরামর্শ দিয়েছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খুলতে। সামনে ঈদ আসছে। সতর্ক থাকতে হবে। নইলে আমাদের সামনে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।’