বগুড়ায় অটো রিকশা চালককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মূল হোতাদের গ্রেফতার

219

স্টাফ রিপোর্টার

বগুড়ায় অটোরিকশরা চালককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭মে) রাতে ও মঙ্গলবার (১৮মে) সকালে গ্রেফতারকৃতদের নিজ নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে স্টেডিয়াম ফাঁড়ি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। ওই সময় তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ নেওয়া তিন হাজার পাঁচশ টাকাও উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি সেলিম রেজা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শহরের মালগ্রাম এলাকার সিদ্দিকের মোড়ের মোখলেছার রহমানের ছেলে রিকু শেখ (২৩), বেলতলা এলাকার মৃত শফিকুলের ছেলে স্বপন শেখ (২১) ও একই এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে মোহাম্মাদ আরিফ (৩০)। তবে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের সাথে জড়িত তাদের আরেক সহযোগী নয়ন পলাতক রয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার রাতে সদর উপজেলার পটিতা গ্রামের অটোরিকশাচালক শাহীনুর রহমানের অটোরিকশায় যাত্রী বেসে উঠেন গ্রেফতার হওয়া রিকু,স্বপন ও নয়ন। পরে তারা শাহীনুরকে জামিলনগর এলাকার তালতলা এলাকায় নিয়ে হাত-পা বেঁধে পরিবারের কাছ থেকে বিকাশে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নেয়। ওই সময় অপহরণে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের সাথে আরিফও যোগ দেয়। অপহরণকারীরা বিকাশে ১০ হাজার টাকা পেয়ে তা জামিল নগর এলাকার এক দোকান থেকে উঠিয়ে নেয়।

এরমধ্যে শাহীনুরের স্ত্রী জাতীয় জরুরী পরিসেবা ‘৯৯৯” এ কল করে সাহায্য চাইলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে শাহীনুরকে সহ তার অটোরিকশা উদ্ধার করে। তবে এর আগেই অপহরণকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।পরে রাতে সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে পুলিশ প্রথমে রিকুকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করে। এরপর তার দেওয়া তথ্য মতে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, মুক্তিপণের দশ হাজার টাকার মধ্যে স্বপন ৪ হাজার,আরিফ ২ হাজার, পলাতক নয়ন ১ হাজার ৭শত টাকা ও রিকু ১ হাজার ৫০০ টাকার ভাগ নেয়। বাকি ৮শত টাকা তারা খাবার খেয়ে ও নেশা জাতীয় দ্রব্য কিনে খরচ করে।

স্টেডিয়াম ফাঁড়ি পুলিশের এস আই জাকির আল হাসান জানান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে রিকুকে গ্রেফতারে পর সে সবকিছু স্বীকার করে ও বাকিদের সম্পর্কে তথ্য দেয়। আমরা মুক্তিপণের কিছু টাকা উদ্ধার করতে পেরেছি।জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাকি টাকাও উদ্ধার করবো। তিনি আরও জানান, আমার ভিকটিমকে খবর দিয়েছি। উনার মাধ্যমে আমরা মামলা গ্রহণ করবো।

বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল ও মিডিয়া মুখপাত্র) ফয়সাল মাহমুদ বলেন, আমরা খুব দ্রুত সময়ে আসামীদের ধরতে সক্ষম হয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে দস্যুতা আইনে মামলা নেওয়া হবে।।