প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে ধুনটে সংবাদ সম্মেলন

518

স্টাফ রিপোর্টারঃ

আমি মোঃ মুনজুরুল মোর্শেদ মজনু, গ্রাম- বড়িয়া, ইউনিয়ন- চিকাশী, উপজেলা- ধুনট জেলা- বগুড়া। গত ২৫ মে ২০২১ ইং তারিখ মঙ্গলবার দৈনিক চাঁদনী বাজার পত্রিকার ১ম পৃষ্ঠার কলামের উপরের অংশে, ২৬ মে ২০২১ তারিখ বুধবার দৈনিক করতোয়া পত্রিকার ৮ম পৃষ্ঠার ৫ কলামের উপর অংশে, দৈনিক বগুড়ার তৃতীয় পৃষ্ঠায়, দৈনিক চাঁদনী বাজার পত্রিকার তৃতীয় পৃষ্ঠায়, দৈনিক উত্তোরকোণ পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠাসহ স্থানীয় ও কিছু জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত ধুনটে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে মারপিটের প্রতিবাদে মানববন্ধন সম্পর্কে সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। প্রকাশিত ওই সংবাদ অতিরঞ্জিত, কাল্পনিক, ভিত্তিহিন, মিথ্যা ও বানোয়াট। এই ধরনের ঘটনার সাথে আমি কখনই জড়িত নই। আমার নামে ঐ ব্যক্তি সংবাদকর্মীদের দ্বারা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আমাকে হয়রানী ও অর্থনৈতিক ক্ষতি করার জন্য পায়তারা করিয়া আসিতেছে। আমি উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দাসহ প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রকৃত ঘটনা হলো আমি গত ২২ মে ২০২১ ইং তারিখ শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় আমার শ্রবণ প্রতিবন্ধী মেয়ে মুশফিকা মোর্শেদ কে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার চিকাশী ইউনিয়নের বড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণীতে ভর্তি করাতে যাই। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহানকে ভর্তির বিষয়ে বারবার বলার পরেও তিনি আমার কথায় কোন কর্ণপাত করে নাই। পরবর্তিতে একাধিকবার তাকে ভর্তির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন তোমার শ্রবণ প্রতিবন্ধী মেয়েকে আমি ভর্তি করবো না। এসব বিষয়ে তার সাথে কথা কাটাকটির এক পর্যায়ে ওই প্রধান শিক্ষক আমাকে কর্থ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার অফিস কক্ষ থেকে বের করে দিলে তাৎক্ষনিক আমি আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে বাসায় চলে আসি। বাসায় ফেরার পর সন্ধ্যায় জানতে পারি প্রধান শিক্ষক বাদি হয়ে আমার নামে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। খবর পেয়ে আমিও ওই দিন সন্ধ্যায় ধুনট থানায় তার বিরুদ্ধে আমি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

উক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান আমার সম্মান নষ্টসহ সমাজের চোখে অপরাধী প্রমাণ করতে আমার নামে এই মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। আমার জানামতে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান নিজেই একজন অপরাধী ও দুর্নীতিবাজ খারাপ প্রকৃতির লোক। কেননা তিনি ২০২১ সালে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন করার ব্যাপারে নিয়ম বহির্ভূত অনেক অপরাধমূলক কাজ করেছে যা সংক্রান্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি বানিয়ে দেওয়ার কথা বলে বড়িয়া গ্রামের মোজাম্মেল হক মিন্টু নামের এক ব্যাক্তির নিকট থেকে ১৬ শতাংশ জমি লিখে নেন। যা বিদ্যালয় থেকে প্রায় ৪শ মিটার দুরে ও পতিত জমি বলে স্থানীয় সবাই অবগত আছে। ইহা ছাড়াও ভূয়া সনদপত্র দিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করার জন্য সাইদুল নামের এক ব্যাক্তিকে এসএসসি পাশের জাল সনদ তৈরি করে কমিটি করতে চেয়েছিলো প্রধান শিক্ষক। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তা বাতিল করা হয়। তিনি বিদ্যালয়ের নামে দলিলকৃত জমিদাতাদের নামের তালিকা ও জাতীয় পরিচয়ত্র শিক্ষা অফিসে জমা দেয় অথচ ওই তালিকায় ৩ জনের কাগজ পত্রাদী জমাদিলেও জমিদাতা মুনজুরুল মোর্শেদ মজনুর কাগজ পত্রাদী জমা করে নাই। এ সংক্রান্ত অভিযোগও উপজেলা শিক্ষা অফিসে দেওয়া আছে। যার অনুলিপি বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করা হয়। অন্য প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্র কে ভর্তি করিয়ে তার বাবা খোরশেদ আলমকে বিদে্যুাৎসাহী সদস্য হিসেবে মনোনিত করেন। ওই শিক্ষক চলতি ২০২১ সালে সাঞ্জুবর রহমান ডাবলুর ছেলেকে নতুন শিক্ষার্থী হিসেবে ২০১৯ সাল দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সর্বপরি তিনি নিজেই অপরাধমূল কাজের সাথে জড়িত। তিনি এলাকার কিছু কু-চক্রীমহল ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পায় তারা করিয়া আসিতেছেন। সেই সাথে আমার সম্মানহানী ও সমাজে হেয় পতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রনোদিত অভিযোগসহ বিভিন্ন ভাবে চক্রান্ত করে আসছে।

আমি তার অপরাধমূল কাজ তুলে ধরে আমার নামে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দাসহ প্রতিবাদ জানিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃক পক্ষের সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানাই।