বগুড়ায় জেলা প্রশাসকের সভা বর্জনের ডাক উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের

309

অনলাইন ডেস্ক

বগুড়া জেলা প্রশাসকের সকল সভা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশন।বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর সংগে জেলা প্রশাসকের অসৌজন্য মূলক আচরণের অভিযোগে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

বুধবার(২৬ মে) দুপুরে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভা থেকে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলা ১৪২৮ সনের ইজারার জন্য পত্রিকায় দরপত্র আহবান করা হয়। সরকারি মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১ কোটি ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ২৬৫ টাকা। সিডিউল বিক্রির শেষ তারিখ ছিল গত ২৮ এপ্রিল। পঞ্চম ধাপে দরপত্র গ্রহণের শেষ দিন ২৯ এপ্রিল মেসার্স রাহী এন্টারপ্রাইজ ৮৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার দরপত্র দাখিল করে।

যা সরকারি মূল্যের চেয়ে ৩২ লাখ ২৯ হাজার ২৬৫ টাকা কম। ইজারা প্রদানের বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক এবং নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ বগুড়া জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করতে যান।
এরপর বুধবার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে বলে অভিযোগ করে উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সদস্যরা সভা ডাকেন। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যার এসোসিয়েশনের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন।

এতে উপস্থিত ছিলেন আদমদীঘি উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, দুপচাঁচিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক, ধুনট উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হাই খোকন, সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান এড.মিনহাদুজ্জামান লীটন, শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু, শাজাহানপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন সান্নু, কাহালু উপজেলা চেয়ারম্যান আল হাসিবুল হাসান কবিরাজ। সভায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি ও শাজানপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক গাবতলী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মুক্তা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি শাজাহানপুর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেফাজত আরা মীরা, সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডালিয়া নাসরিন রিক্তা।

বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সফিক জানান, নন্দীগ্রামের রনবাঘা হাটটি সরকার নির্ধারিত মূল্যের ৩২ লাখ টাকা কমে ইজারা দেয়া হয়েছে। যা উপজেলা পরিষদকে না জানিয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বুধবার সে বিষয়টি নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের সকল সভা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক জানান, বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক ও নন্দীগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ এসেছিলেন রনবাঘা হাটের ইজারার বিষয়ে কথা বলতে। তাদের সাথে সুষ্ঠুভাবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোন ধরনের অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়নি।