স্ত্রীর পরিকল্পনায় তার স্বামীকে খুন করেন মসজিদের ইমাম

274

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর দক্ষিণখানে মসজিদের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে নিখোঁজ যুবকের ছয় টুকরা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন নিহত আজহারের স্ত্রী আসমা আক্তার (২২)। তার পরিকল্পনায় ও নির্দেশনায় স্বামী আজহারকে কুপিয়ে হত্যা করেন দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমান। মসজিদের এই ইমামের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

বুধবার (২৬ মে) এসব তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ‘নিহত আজহারের স্ত্রী আসমাকে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে মঙ্গলবার রাতে আমরা গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য আমরা পেয়েছি। আজহারের স্ত্রী এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। মসজিদের ইমাম আব্দুর রহিমের সঙ্গে আসমার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। আজহারকে সরিয়ে দেয়ার জন্য মসজিদের ইমামকে ভাড়াটে কাউকে দিয়ে হত্যা করার জন্য বলেন আসমা। কিন্তু মসজিদের ইমাম ভাড়াটে কাউকে দিয়ে হত্যা না করিয়ে নিজেই হত্যা করেন।’

তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমানের সঙ্গে নিহত আজহারের পারিবারিক সম্পর্কের মতো ছিল। আজহার-আসমা দম্পতির চার বছরের শিশু সন্তানকে আরবি পড়াতেন ইমাম আব্দুর রহমান। নিহত আজহারকেও আরবি পড়াতেন তিনি। সেই সুবাদে গত ৫-৬ মাস ধরে তাদের বাসায় আসা যাওয়া ছিল ইমামের। বাসায় আসা-যাওয়ার এক পর্যায়ে আজহারের স্ত্রী আসমার সঙ্গে মসজিদের ইমামের অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়। অবৈধ সম্পর্ক বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আসমা আক্তারই আজহারকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।’

জানা যায়, আগে থেকে পরিচয় থাকার সুবাদে গত ১৯ মে রাতে আজহারকে মসজিদে ডেকে নেন ইমাম রহিম। সেখানেই ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয় আজহারকে। এরপর ইমাম আব্দুর রহিমের শয়নকক্ষে আজহারের মরদেহ ছয় খণ্ড করে সেপটিক ট্যাংকের লুকিয়ে রাখা হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তারকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-১।