বগুড়ায় চলন্ত বাস থামিয়ে আ. লীগ-যুবলীগের দুই নেতাকে ছুরিকাঘাত

438

স্টাফ রিপোর্টার

বগুড়ায় চলন্ত বাস থামিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। তাদের উদ্ধার করে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের স্টেশন রোডে জামিল নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ছুরিকাঘাতে আহতরা হলেন, নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক তারেক হোসেন (৩৩) ও তার ছোট ভাই ১নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন (২৮)। তারা নন্দীগ্রাম উপজেলার ভুস্কুর ইসলামপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। একটি মারপিট মামলায় দুই ভাই আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাস যোগে বাড়ি ফিরছিলেন।

আজ শুক্রবার দুপুরে বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তারেক হোসেন জানান, বগুড়া শহরের স্টেশন রোড থেকে দুই ভাই বাড়ি ফেরার উদ্দেশে হাটকড়ইগামী (ঢাকা মেট্রো-জ-১১-২৬২৭) এসএসখান পরিবহন নামের একটি লোকাল বাসে ওঠেন। বাসটি এক কিলোমিটার যাওয়ার পর জামিলনগর এলাকায় জানেসাবা হাউজিং এর সামনে ১০ থেকে ১৫ জন বাসটি থামায়। এরপর তারা বাসের ভেতর উঠে চালকের কাছ থেকে বাসের চাবি কেড়ে নেয়। এ সময় বাসের অন্যান্য যাত্রীদের সামনে দুর্বৃত্তরা দুই ভাইকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে চালককে বাসের চাবি দিয়ে বাস থেকে নেমে যায়। পরে চালক বাসটি জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে আহত দুই ভাইকে ভর্তি করে দেয়।

জানা গেছে, নন্দীগ্রামের ইসলামপুর ভুস্কুর আলিয়া আলিম মাদরাসার এডহক কমিটির সভাপতি না হতে পেরে গত বুধবার (২৬ মে) তারেক হোসেন তার লোকজন নিয়ে মাদরাসার নতুন সভাপতি ও অধ্যক্ষকে মারপিট এবং অবরুদ্ধ করে রাখে। এ ঘটনায় মাদরাসার অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তারেকের ভাই স্কুলশিক্ষক আবদুল বাছেদকে গ্রেপ্তার করে। তারেক হোসেনকে মারাসার সভাপতি নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক এমপি।

অপর দিকে, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন সভাপতি হিসেবে নাজমুস সাহাদত সোহেলের নাম সুপারিশ করেন। মাদরাসার অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন গত ২ এপ্রিল মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে দুজনের নাম প্রেরণ করেন। গত ১৪ এপ্রিল মাদরাসা বোর্ড এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে বিএনপির এমপির সুপারিশকৃত নাজমুস সাহাদত সোহেলের নাম অনুমোদন করে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে বুধবার দুপুর ১টার দিকে অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন ও এডহক কমিটির সভাপতি নাজমুস সাহাদত সোহেলকে মারপিট করে অবরুদ্ধ করেন।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, সদর থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ছুরিকাঘাতের সঙ্গে জড়িতরা নন্দীগ্রাম থানা এলাকার। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।